সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে প্রার্থীর হলফনামা

বর্তমান এমপির শেয়ারে ৬ গুণ লাভ ॥ সাবেক এমপির নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় শতগুণ ॥ সম্পদ বেড়েছে রোমানের

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
বর্তমান এমপির শেয়ারে ৬ গুণ লাভ ॥ সাবেক এমপির নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় শতগুণ ॥ সম্পদ বেড়েছে রোমানের

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান গত ৫ বছরে দেনামুক্ত হয়েছেন। তবে ৫ বছর পূর্বে নিজের, স্ত্রীর এবং নির্ভরশীলদের কাছে থাকা ৩১ লক্ষ টাকার শেয়ার ৫ বছর পর দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী তা বিক্রি করে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা অর্জন করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় ৩,৮১,৬৬ টাকার দেনা থাকলেও বর্তমানে তা নেই। গত ৫ বছরে তার নগদ টাকার পরিমাণ কমেছে। ২০১৮ সালে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ১,৫৫,৬৩,০৭৫ টাকা, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকার পরিমাণ ছিল ২,৭৯,৬৬৩ টাকা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় নগদ টাকা ৯৫,৩০,৬৭৩ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৭৬,২৩,৪১১ টাকা। এছাড়া বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান/অন্যান্য ভাড়া বাবদ আয় ৩৩,৬৫০০২ টাকা। পৈত্রিক সূত্রে ১.৫ একর জমির মালিক তিনি। ঢাকায় ৬ তলা একটি বাড়ি রয়েছে, যার দাম ২,৭৪,৬০,৪২৭ টাকা। ৪০ লক্ষ টাকার মূল্যের ৫ কাঠা জমি রয়েছে। একটি পাকা বাড়ি যার দাম ৫, ৮০,০০০ টাকা। বৈবাহিক সূত্রে প্রাপ্ত ৩০ তোলা স্বর্ণ। যার দাম ২৫,০০০ টাকা। ২০১৮ সালে শেয়ার ছিল ২০,০০,০০০ টাকা মূল্যের। স্ত্রীর নামে শেয়ার ছিল ৩,৫০,০০০ টাকার এবং নির্ভরশীলদের কাছে ৭,৫০,০০০ টাকার শেয়ার ছিল। তবে বর্তমানে কারো কোনো শেয়ার নেই।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া এপোলো গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান। গত ৫ বছরে তার হতে নগদ টাকার পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে। ২০১৮ সালে দাখিলকৃত হলফনামায় হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ৬ লক্ষ টাকা দেখালেও বর্তমানে দাখিলকৃত হলফনামায় নগদ টাকার পরিমাণ ৫ কোটি ৭০ লক্ষ ৮২ হাজার ১৩৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ৯,৬২,৩৪৮ টাকা। স্ত্রীর নামে জমা ৪,৩১.৪৮০.৮৩ টাকা। নিজের ও স্ত্রীর নামে থাকা ২০১৮ সালের ৮২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৮০ টাকার শেয়ারের বর্তমান মূল্য ১ কোটি ৭২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬৬০ টাকা হয়েছে। তিনি বর্তমানে তার বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান/ অন্যান্য ভাড়া বাবদ আয় করেন ৪৮,৮১,৪৫০ টাকা, শেয়ার আছে ২৬টি। যদিও ২০১৮ সালে তার বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান/অন্যান্য ভাড়া বাবদ আয় করতেন ৫১,৩৭,৯৯২ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৩,০০,০০০ টাকা, ব্যাংক জমা ছিল ১,২৫,১৬১ টাকা, স্ত্রীর ছিল ১,০০,০০০ টাকা। নিজের ৬৬,৪০,০০০ টাকা মূল্যের গাড়ি, স্বর্ণ রয়েছে নিজের ২,০০,২০০ টাকা ও স্ত্রীর ৯৪,২০০ টাকা। অকৃষি জমির মূল্য ১৪,২৪,৩৯০ টাকা, ঢাকার গ্রীন রোডে ও উত্তরা দুইটি বাড়ির মূল্য ১,৫৫,৭৬,৫০০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে চাঁদপুরে ও ঢাকার বাড়ির মূল্য ১,৮৮,১৯,১৮১ টাকা। স্ত্রীর অ্যাপার্টমেন্ট/বাড়ির মূল্য ১,৫২,৯৩,৪১০, নিজের ব্যক্তিগত দায় রয়েছে ১০,৩২,৫৫,০০০, অন্যান্য ৪০,০০,০০০ টাকা।

তিনি ইতিঃপূর্বে দুদকেরসহ তিনটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও বর্তমানে তার নামে ২য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে (138 N.I.Act) ও ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে (138 N.I.Act) দুটি মামলা চলমান রয়েছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি নেয়া চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম রোমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় নগদ টাকার পরিমাণ ৬ লক্ষ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা ১০ লক্ষ টাকা, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমার পরিমাণ ২০১৮ সালে ৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৩০ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা ৩২ লক্ষ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালে স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থাকলেও বর্তমানে স্ত্রীর নামে ৫ লক্ষ টাকা এবং নিজের নামে ২৪ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তিতে ২০১৮ সালে অকৃষি জমিতে পৈত্রিক ১০ শতক জমির মূল্য ১ লক্ষ টাকা ও ক্রয়সূত্রে ২০ শতক জমির মূল্য ৪৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে নতুন করে ১৭২.৮৯ শতক জমির মালিক হয়েছেন। যার মূল্য ৩ কোটি ৬৮ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা।

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)-এর মহাসচিব ও চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনএম প্রার্থী ২০১৮ সালে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে এসেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি পেশা থেকে আয় ৪,১৭,০০০ টাকা, নির্ভরশীলদের আয় ১২,৪৬,০৫০ টাকা, নগদ নিজের ৮,৬২,৬৪৫ টাকা, স্ত্রীর ২৩,১৮,৪৩১ টাকা, শেয়ার ১০,২২,৬০৮ টাকা, স্ত্রীর নামে সঞ্চয় পত্র ৫,১২,৮২৮ টাকা, নিজ নামে অকৃষি জমি ১,২৩,৫০,১৮০ টাকা এবং স্ত্রী নামে ১,৫১,১২,৩০০ টাকা ছিল। আর ২০২৩ সালে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি বাড়ি ভাড়া বাবদ পাচ্ছেন ৩,৬৯,০০০ টাকা, শেয়ার মূল্য ৮০,২০০ টাকা, পেশায় আয় ৩৩,০০,০০০ টাকা, নগদ ১,০০,০০০ টাকা, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ২,৩৫,৯০৮ টাকা, স্ত্রীর রয়েছে ২,০০,০০০ টাকার স্বর্ণ। নিজ নামে ২টি স্ত্রীর নামে ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে, অন্যান্য ব্যবসা ২০,৭১,০৬,৪৩৩ টাকা রয়েছে।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিআইপি জালাল আহমেদ দাখিলকৃত হলফনামায় জালাল আহমেদ বাড়ি/ অ্যাপার্টমেন্ট/ দোকান/ অন্যান্য ভাড়া বাবদ আয় ৩৫,২৬,৩৩৭ টাকা, শেয়ার বাবদ ৩৬,৫১৮ টাকা। নগদ টাকা নিজের রয়েছে ৪১,৬০,২২০ টাকা। স্ত্রীর রয়েছে ৮,০০,০০০ টাকা এবং নির্ভরশীলদের রয়েছে ২,০০,০০০ টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের ১ কোটি টাকা, স্ত্রীর নামে ১০,০০০০০ নির্ভরশীলদের ৫,৪৩,৫৪৫ টাকা রয়েছে। স্বর্ণালঙ্কার নিজের ২০ ভরি, দুই স্ত্রীর ৮০ ভরি এবং নির্ভরশীলদের ২০ ভরি রযেছে। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে দালান মূল্য ২৪,৮০,১৩,৬৮০ টাকা এবং বকেয়া ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে ৮৭,৭২,৮৪৯ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়