সে সময় মানুষ একযোগে নৌকাকে বিজয়ী করেছেন বলেই স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা

বিজয়ের মাস উপলক্ষে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ফরিদগঞ্জে মতবিনিময় সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে তাঁর ভাটিরগাঁওস্থ বাড়িতে আয়োজিত সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোঃ আব্দুর রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ নাজমুন নাহান অনি।

সভাপতির বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, ১৯৭০ সালে এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিপুল অর্জনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়। সে সময় মানুষ একযোগে নৌকাকে বিজয়ী করেছেন বলেই স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছে নৌকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি, ফলে মানুষ দলে বেঁধে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্যে প্রস্তুত হয়েছে। ট্রেনিংয়ের জন্যে লোকজনকে ভারতে নিয়ে গিয়েছি, যুদ্ধ করেছি। এখানে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ আব্দুর রব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি উপস্থিত রয়েছেন। তারাও মুক্তিযুদ্ধে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। আমরা যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে তখনই হানাদাররা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার নীলনকশা করে। ১৪ ডিসেম্বর তারা তা সফল করে। তাই বিজয়ের মাসেও আমাদের জন্যে শোকের দিন রয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ মোহাম্মদ আলী মজমুদারের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা খাজে আহমেদ মজুমদার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আক্কাস পাটওয়ারী, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ খান, আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, মাহমুদুল হাসান মিরাজ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সবাপতি হাসান রাজা পাটওয়ারী প্রমুখ।

পরে শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ শারাফাত উল্লা।