প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা -১২
বাবার মতোই দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করতে চাই
---------------------মোঃ নাজমুল আহসান (নয়ন)
বাবা তখন চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়তেন। ছিলেন ইন্টারমিডিয়েটে পড়া টগবগে যুবক। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তাঁর মা-বাবাকে না জানিয়ে ভারতে ট্রেনিং করতে চলে যান। ট্রেনিং শেষে দেশে এসে যুদ্ধে নেমে পড়েন। যুদ্ধ করেছেন সিলেট অঞ্চলে। যুদ্ধ শেষে বাড়িতে ফিরলে এক হুলুস্থুল ঘটনা ঘটে। আমাদের বাড়ির সামনে একটি বড় নারকেল গাছ ছিলো। যুদ্ধে ব্যবহার করা রাইফেল দিয়ে সেই নারকেল গাছে গুলি করেন। সেই গুলির ছিদ্র নারকেল গাছের মাঝখানে এখনো রয়ে গেছে। মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চাঁদপুরের শীর্ষ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’ শিরোনামে আজকে এসব কথা বলেছেন হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের গোগরা মিজি বাড়ির মরহুম শুকরুল আলম মিয়াজির বড় ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল আহসান নয়ন। তার আরো কথা নিচে তুলে ধরা হলো :-
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?
নাজমুল আহসান নয়ন : মোঃ শুকুরুল আলম, সাবেক কমান্ডার, ০২ নং বাকিলা ইউনিয়ন (নির্বাচিত), গেজেট নং-৭৮০; সাবেক কার্যসহকারী-সওজ বিভাগ, চাঁদপুর। তিনি জেনারেল ওসমানীর অধীনে সিলেট অঞ্চলে যুদ্ধ করেছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?
নাজমুল আহসান নয়ন : মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশ মাতৃকার উন্নয়নে কাজ করে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন, তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট। এ অনুভূতি বলে বোঝাতে পারবো না।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
নাজমুল আহসান নয়ন : মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা স্বঅবস্থান থেকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের প্রয়াস চালাতে হবে এবং দেশকে ভালোবাসতে হবে। সর্বোপরি বাবার মতোই দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
উল্লেখ্য, মোঃ নাজমুল আহসান (নয়ন) সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাকিলা ইউনিয়ন শাখা ও হাজীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।