প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
হাজীগঞ্জে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতাণ্ড২০২০-এর প্রান্তিক পর্ব। বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত উক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন (সিকেডিএফ)। ‘বিতর্কে আজ নতুন জোয়ার, যুক্তিতে যুগ খুললো দুয়ার’ শ্লোগানে উপজেলার ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি কলেজ ও ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিতর্ক দল অংশ নেয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় গভর্নিং বডির সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক ড. অসীম কুমার দাস।
চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি রোটাঃ কাজী শাহাদাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং সিকেডিএফ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মনসুর আহমেদ বিপ্লবের সভাপ্রধানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজের সাবেক শিক্ষক বিমল কান্তি দাস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের হাজীগঞ্জ ব্যুরো ইনচার্জ ও চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান টুটুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মাওঃ মজিবুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন দুলাল, বিদ্যোৎসাহী সদস্য সমীর বর্ধন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুল্লাহ মিয়া, বাকিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল ধরসহ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিনিধি আলমগীর কবির ও পাপ্পু মাহমুদ।
বিতর্ক প্রতিযোগিতা পর্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান, চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমির সমন্বয়কারী মোঃ হানিফ, জেলার যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদুল হাসান। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন সিকেডিএফ সদর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আজিজুল হাকিম নাহিন।
‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী রাজনৈতিক বঙ্গবন্ধুকে নয়, সাহিত্যিক বঙ্গবন্ধুকে উন্মোচিত করে’ বিষয়ের পক্ষে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ বিপক্ষে বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ বিতর্ক দল অংশ নেয়। এতে বিজয়ী হয় হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ও সেরা বক্তা হয় বিজয়ী দলের আফসানা লিজা।
‘বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণের চেয়ে ছয় দফাই অধিক কার্যকর হাতিয়ার’ বিষয়ের পক্ষে ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ বিপক্ষে রাজারগাঁও ফাজিল মাদ্রাসা দল অংশ নেয়। এতে বিজয়ী দল ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ দল। শ্রেষ্ঠ বক্তা হয় বিজয়ী দলের জাকিয়া আক্তার জিফা।
‘শিশু শিক্ষায় শাসনের চেয়ে সোহাগ বেশি কার্যকর’ বিষয়ের পক্ষে হাজীগঞ্জ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিপক্ষে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দল অংশ নেয়। এতে বিজয়ী হয় হাজীগঞ্জ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর শ্রেষ্ঠ বক্তা হয় বিজয়ী দলের সায়মা হোসেন সারা।
‘আমার দেশের রূপই পৃথিবীর সুন্দরতম রূপ’ বিষয়ের পক্ষে বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আর বিপক্ষে বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয়য় এন্ড কারিগরি কলেজের স্কুল শাখা দল অংশ নেয়। এতে বিজয়ী হয় বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দল, শ্রেষ্ঠ বক্তা হয় বিজয়ী দলের তানজিলা আক্তার।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মূল হাতিয়ার প্রযুক্তি নয়, যোগ্য নেতৃত্ব’ বিষয়ের পক্ষে হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখা আর বিপক্ষে সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় অংশ নেয়। এতে বিজয়ী হয় সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ বক্তা হয় বিজয়ী দলের মেহেরীন আক্তার মিনহা।
‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে জানাতে বিতর্ক একটি কার্যকর মাধ্যম’ বিষয়ে পক্ষে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আর বিপক্ষে রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় অংশ নেয়। বিজয়ী হয় রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, সেরা বক্তা হয় হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আকিদা হোসেন নূর।
‘পরিবেশ রক্ষায় আইন নয়, জনগণের ভূমিকাই মুখ্য’ বিষয়ের পক্ষে ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয় আর বিপক্ষে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় অংশ নেয়। এতে বিজয়ী হয় ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা হয় বিজয়ী দলের উম্মে হাবিবা সিফা।