প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
ডিবিসির ‘ইলেকশন এক্সপ্রেস’ লাইভ সম্প্রচার অনুষ্ঠান চলাকালে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মৎসজীবী লীগ নেতা আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহানের উপর হামলা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
১ অক্টোবর রোববার সকাল ১০টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ৮৫নং লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় ২ জন সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত এবং নির্বাচনী গণসংযোগের ব্যবহৃত ৪টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রেদওয়ান খান বোরহান।
আহত সাংবাদিক গাজী মোঃ মহসিন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ পাটোয়ারী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার হিমেল মাহবুব বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে ডিবিসির নির্বাচন নিয়ে বিশেষ আয়োজন ‘ইলেকশন এক্সপ্রেস’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন হয়ে আসছে। এ নিয়ে চাঁদপুরে আমরা কয়েকটি অনুষ্ঠান করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১০টায় চাঁদপুর-৩ আসনের সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে একটি প্রাইমারী স্কুল মাঠে ডিবিসি ইলেকশন এক্সপ্রেস লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালে ৫০-৬০ জন দুর্বৃত্ত হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, আজকে এ আয়োজনে যুক্ত ছিলেন মৎস্যজীবী লীগের নেতা চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব মোঃ রেদওয়ান খান বোরহান।
এ বিষয়ে রেদওয়ান খান বোরহান বলেন, আজকে জনপ্রিয় টেলিভিশন ডিবিসি চ্যানেলের ‘ইলেকশন এক্সপ্রেস’ নামের একটি লাইভ অনুষ্ঠান ছিল আমার এলাকায়। অনুষ্ঠানটি চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে একটি স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। আমি ওই স্কুলের একজন দাতা সদস্য।
লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালে সেলিম খানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর আতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় শাহালম মাঝি, শামিম, জুয়েল, আল আমিন, বিল্লালসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা অংশ নেয়। হামলাকারীরা আমার নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের রক্তাক্ত জখম করেছে। তাদের হামলা থেকে ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপার্সন সবুজ, সাংবাদিক হিমেল মাহবুব এবং স্থানীয় দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার গাজী মহসিনও রেহায় পায়নি। সাংবাদিক মহসিনের পকেটে থাকা নগদ ১৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
রেদওয়ান খান বোরহান বলেন, আমার নিজের এলাকায় এমন একটি ঘটনা এবং আমার দলের লোকদের কাছ থেকে কখনোই প্রত্যাশা ছিলো না। আমি এ ঘটনায় আমাদের অভিভাবক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দিলাম। আমি কেন্দ্রীয় নেতার সাথে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুহসীন আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
