বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

নানুপুর-মকিমপুরে সরকারি খাল দখল করে ঘর নির্মাণ
সোহাঈদ খান জিয়া ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর-মকিমপুর গ্রামে সরকারি খাল ভরাট করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘর নির্মাণ করার সময় খাল ভরাট করে নিচে মিডিয়াম পাইপ দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে। কিন্তু পাইপ সরু হওয়ায় পানি চলাচল করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এতে বৃষ্টির পানি জমে চাষাবাদের জমি তলিয়ে যাওয়াসহ বসতবাড়িতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

এ খাল দিয়ে প্রায় ৪শ’ একর জমির পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু সরু পাইপ দেয়ার ফলে পানি নিষ্কাশন একেবারে কম হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে কৃষকরা কষ্টার্জিত আশানুরূপ ফসল ঘরে তুলতে পারে না। যার ফলে অনেকেই জমি চাষাবাদ ছেড়ে দিয়েছে। এতে করে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে।

জানা যায়, প্রভাবশালী মহলের সাথে আঁতাত করে খাল ভরাট করে স্থানীয় কোনো লোক বা দূর থেকে আগত কেউ জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করে। এর বিনিময়ে ওই মহল পেয়ে থাকে বড় ধরনের নগদ অর্থ। পরিণামে সরকারি খাল ভরাট হয়ে যে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সেদিকে কারো নজর নেই। এভাবে খাল ভরাট করতে থাকলে একদিন ফসলের জমিগুলোতে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না। এসব জমির উপর অনেকের সংসার চলে আসছে। জমিগুলোতে পানি জমে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেলে এ সকল পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের নিজ গাছতলা ঈদগাহ মাঠের দিক থেকে উত্তর দিকে খাল ভরাট করে বসতঘর গড়ে উঠেছে। এসব বসতঘর নির্মাণ করার সময় বড় পরিসরের খাল ভরাট করে কেউ নামমাত্র কালভার্ট কিংবা কেউ ছোট পাইপ স্থাপন করে। আবার সরকারি খালের জায়গা ভরাট করে সে জায়গা তারা দখল করে নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন কৃষক জানান, খাল ভরাট করার কারণে বৃষ্টির পানি জমে আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যারা বসতঘর করেছে তারা কিছু প্রভাবশালী লোকজনকে হাতে রেখে সেটি করে। আমরা কষ্ট করি, ফসল করে পানি জমে থাকার কারণে আশানুরূপ ফসল ঘরে আনতে পারি না।

ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান বলেন, বাড়িঘর নির্মাণ করে সরকারি খাল ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। কৃষকের কথা চিন্তা করে সরকারি খাল রক্ষা করা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল বলেন, এ খালটি বহু পুরানো। ১০/১২ বছর ধরে খালটি দখল করে বাড়ি-ঘর গড়ে উঠেছে। খালটি ভরাট করার কারণে পানি চলাচল করতে না পারায় পানি জমে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষক বাঁচাতে হলে পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে খালটি উদ্ধার করা প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়