প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
হাজীগঞ্জে মহিদুল ইসলাম (৯) নামের এক শিশু ও মাকসুদা বেগম (২৬) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে মৃতের স্ব স্ব স্বজনেরা। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে কাশিমপুর গ্রামের ঠাকুরবাড়ির পুকুর থেকে আর হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মৈশাইদ গ্রামের গাজী বাড়ি সংলগ্ন খালের পানি থেকে মাকসুদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উভয়েই পানিতে ডুবে মারা গেছে। মাকসুদা নামের ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের লাওকরা গ্রামের খন্দকার বাড়ির মোঃ মামুন হোসেনের স্ত্রী। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বাড়ির উঠোনে সাইকেল নিয়ে খেলাধুলা করছিলো শিশু মাহিদুল ইসলাম। খেলাধুলার এক পর্যায়ে শিশুটি পরিবারের সবার অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়ে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পায়।
এদিকে রোববার মাকসুদা বেগম চাচাতো বোনের বিয়েতে অংশ নিতে লাওকরা গ্রাম থেকে মৈশাইদ গ্রামে আসেন। বিয়ের দিন সোমবার সকালে চাচাতো বোনের বাড়িতে সাঁকো পার হয়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে খালে পড়ে যায়। দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর বাসায় ফিরে না আসায় তাকে সবাই খুঁজতে বের হয়। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার মৈশাইদ গ্রামের গাজী বাড়ি সংলগ্ন খালে মাকসুদা বেগমের পরিহিত ওড়না দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার করে। এ সময় পরিবারসহ তাদের নিকট আত্মীয়রা খাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। তারা জানান, মাকসুদা মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।