প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
গত জুলাই মাসে জিটি রোডের ক্ষত-বিক্ষত রাস্তার খবর ফেসবুকে পোস্ট করে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান সরজমিনে এসে ১৩ জুলাই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করান। এদিকে দিনের পরে দিন মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। ৪ ফুটের রাস্তায় আরসিসি ঢালাই হবে। ঠিকাদারের গাফিলতিতে সংস্কারের নামে এখন জনদুর্ভোগ চরমে দেখা দিয়েছে যা সরজমিনে এবং ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবে। রাস্তার পাশে ড্রেনের কাজের বিলম্ব হওয়ায় ইতিমধ্যে দু’টি শিশুসহ একজন নারী ড্রেনে পড়ে আহত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
ঈদুল আজহার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে জিটি রোড ক্ষতবিক্ষত হয়ে ভয়ানক রূপ নিয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে অটো রিকশার যাত্রীদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। গাড়ির ঝাঁকুনিতে মানুষের কোমর, হাঁটু ও মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হন অনেকেই। এ এলাকার মানুষ এখন বিরক্ত হয়ে গেছে। তারা চান রাস্তার সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ হোক। সাংবাদিকদের এভাবেই কথাগুলো বললেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
পৌর ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ কবির হোসেন চৌধুরী জানান, বৃষ্টির কারণে কাজ বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমি ঠিকাদারকে বলে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। রাস্তাটির সংস্কার কাজ চলছে এবং দুই পাশে ফুটওয়ার্ক থাকবে। যাতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে পারে। আর এ রোডে যে সকল জায়গায় বাজার আছে সেখানে সিসি ঢালাই হবে। এ রোডের প্রস্থ হবে ২০ফুট। রোডটি বর্তমানে চেয়ারম্যান ঘাটা থেকে ৪০০ ফুট আরসিসি ঢালাই হবে।