শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

সওজ কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ফের নির্মাণ হচ্ছে দোকান!
স্টাফ রিপোর্টার ॥

ফরিদগঞ্জে সওজ কর্তৃপক্ষ যেনো অসহায়! নিজেদের ভূমি বেদখল থেকে মুক্ত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পাচ্ছে না। সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন বিভাগের প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানোর পরও সহযোগিতা পায়নি বলে জানায় চাঁদপুর সওজ। ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সওজের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলছেন ক’জন প্রভাবশালী। যদিও চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ শহরকে যানজটমুক্ত ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছিলো প্রশাসন। কিন্তু তৎকালীন অফিসারদের বদলিজনিত সময়ে এখন সুকৌশলে কিছু লোক সেখানে পুনরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। বিশেষ করে মোস্তফা রাঢ়ী নামের একজন গত জুন মাসে ‘মায়ের দোয়া’ নামে একটি খাবারের হোটেল সেখানে গড়ে তুলেন। তিনি বাধাহীনভাবে সেখানে ব্যবসা করে আসছেন। তার দোকানে যে বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ তাও অবৈধ। তার দেখাদেখি অনেকেই সেখানে দোকানপাট তুলছেন। তাদের দাবি অন্যরা তুললে আমরা কেনো পারবো না।

সওজের স্থানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন মামুন নামের চাঁদপুর সওজের এক কর্মকর্তা। কিন্তু দখলদাররা তাকে সেখানে অপদস্ত করে। তারপর তিনি প্রতিকার চেয়ে ৪/৫ দিন আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র এবং থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি।

মাওলানা শহীদুল্লাহ বলেন, যদি উচ্ছেদ করতে হয় তাহলে সবাইকে করতে হবে। কেউ বহুতল ভবন করে অথবা অস্থায়ী দোকান তুলে ব্যবসা করবে আর অন্যরা করলে সেটা দোষের হয়ে যাবে। এটা কেমন কথা? উচ্ছেদ করলে সবাইকে করতে হবে। কেউ উচ্ছেদ হবে কেউ হবে না, তা হবে না।

এ বিষয়ে সওজ কর্তৃপক্ষ মামুন বলেন, আমি অবৈধ স্থাপনা যাতে না তুলে সে ব্যাপারে বলতে গেলে উল্টো আমাকে কথা শুনতে হয়েছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে সরকারি ভূমি রক্ষার জন্য এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার সহযোগিতা চেয়ে আজ থেকে ৪/৫দিন আগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি এ রকম চিঠি পাইনি। তবে উনারা এসে যদি সহযোগিতা চায় অবশ্যই আমি সহযোগিতা করবো। আমরা ভোক্তা অধিকারসহ সবাইকে পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি। এটা আামার দায়িত্ব।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন নাহার বলেন, আমি এ রকম চিঠি এখনো পাইনি বা কেউ এখন পর্যন্ত (২৫ সেপ্টেম্বর) পাঠায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌলি মণ্ডল এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ মুহূর্তে আমি ঠিক কিছু বলতে পারছি না। কাগজপত্র দেখে তারপর বিষয়টি দেখবো।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, অবৈধ স্থাপনাতো অবৈধই। সরকারি ভূমি দখল করার অধিকার কারো নেই। এ বিষয়ে সাংবাদিকদেরও ভূমিকা নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়