প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর শহরে বাসা-বাড়িতে গড়ে উঠেছে প্রাইভেট হাসপাতাল। এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
জানা যায়, বাসা-বাড়ির নিচে হাসপাতাল গড়ে তোলার নিয়ম না থাকলেও সে নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আসছে হাসপাতাল মালিক পক্ষ। এ নিয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
চাঁদপুর শহরে ২৩টি প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে। এর মধ্যে ৮/১০টি হাসপাতাল বাসা-বাড়িতে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে এমন কয়েকটি হাসপাতাল হচ্ছে : নাভানা হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, কর্ণফুলী হাসপাতাল, চাঁদপুর মেডিকেল সেন্টার, ইউনাইটেড হাসপাতাল এবং মা ও শিশু হাসপাতাল।
সরজমিনে দেখা যায়, উল্লেখিত হাসপাতালসহ অন্যকিছু হাসপাতালের উপরে রয়েছে বাসা-বাড়ি। আবাসিক এলাকায় হাসপাতাল হওয়ার নিয়ম না থাকলেও চাঁদপুরে তা নিয়মে পরিণত হয়েছে। তবুও কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। উপর্যুপরি আবাসিক এলাকায় নতুন কিছু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাঁদপুর শহরে প্রতিষ্ঠিত ২৩টি হাসপাতালের মধ্যে অধিকাংশ হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার ডিপ্লোমা কোর্স করা। প্রতিটি হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার এমবিবিএস পাস হওয়ার নিয়ম থাকলেও, সেখানেও অনিয়ম করে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে রোগীরা সঠিক ও ভালো সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি অধিকাংশ হাসপাতাল দেখতে সুন্দর হলেও সেবার মানের দিকে পিছিয়ে রয়েছে। এ সকল অনিয়ম হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকার কারণে।
জেলা বিএমএ-এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন নবী মাসুম বলেন, এ ব্যাপারে বিএমএ-এর পক্ষ থেকে সিভিল সার্জন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হাসপাতালগুলো সরকারের নিয়মণ্ডকানুন মেনে চলবে এটাই স্বাভাবিক। একটা হাসপাতালে এমবিবিএস পাস ডিউটি ডাক্তার থাকার নিয়ম। অনেক হাসপাতালে ডিপ্লোমা পাস করা চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতালের দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। আর এদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নেয় না এটা দুঃখজনক। আবাসিক এলাকায় কিছু নতুন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে এমবিবিএস ডাক্তার থাকা বাধ্যতামূলক এবং ২৪ ঘন্টাই এমবিবিএস ডাক্তার থাকতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের নজরদারি থাকবে।