বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

সর্ষের ভেতরে ভূত
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই যখন মাদক বিক্রেতাদের শেল্টার দেয়, সব ধরনের সহযোগিতা করে, এমনকি কোনো কোনো সময় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে, এ অবস্থায় মাদকের বিস্তার কোন্ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে তা সহজেই অনুমেয়। এমন অভিযোগ চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এরা হচ্ছেন--সহকারী উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ পিয়ার হোসেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক সেন্টু রঞ্জন নাথ। এই তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা, মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়া, মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেয়া এবং মাদক বিরোধী অভিযানের সংবাদ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে আগাম পৌঁছে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে এই তিন কর্মকর্তার যোগসাজশের কারণে মাদক বিরোধী অভিযান ব্যর্থ হয়। খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের এমন অভিযোগ।

বেশ কয়েক বছর চাঁদপুর মাদকে ছেয়ে গেছে। ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল যেনো হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাঁদপুরে মাদকের বড় ধরনের কোনো চালান আটক করতে পারছে না। মাদকের গডফাদার বড় ব্যবসায়ীকেও আটক করতে পারছে না। প্রায়ই মাদক বিরোধী অভিযান ব্যর্থ হয়। এই ব্যর্থ হওয়ার নেপথ্য কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসল সর্ষের ভেতরে ভূত থাকার কাহিনী।

মাদকদ্রব্য নিয়ে কাজ করার জন্যে সরকারের পৃথক সংস্থাই রয়েছে। সেটি হলো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এই সংস্থার কাজই হলো শুধুমাত্র মাদক নিয়ে। এরা মাদক নিয়ন্ত্রণ, দমনে কাজ করবে। মাদক বিক্রেতা এবং সেবনকারীদের অবস্থান তারা চিহ্নিত করবে, এ কাজে সোর্স নিয়োগ করবে, নিজেরা মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করবে, প্রয়োজনে অর্থাৎ বড় ধরনের কোনো অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিবে। এমনটাই হলো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাজের ধরন। কিন্তু চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উক্ত তিন কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা মাদক নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে মাদক ব্যবসায়ীদের সকল ধরনের সহযোগিতা করছে। চাঁদপুরের বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে এদের রয়েছে নিয়মিত যোগাযোগ। যার কারণে মাদক বিরোধী অভিযানের আগাম সংবাদ তারা পেয়ে যায়। এতে করে ব্যর্থ হয় মাদক বিরোধী অভিযান।

নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর তা যাচাই করা হয়। যাচাইয়ে সত্যতাও মিলে।

সহকারী উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ পিয়ার হোসেন এবং আরেক সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম তিন বছর ও পাঁচ বছর যাবত এ জেলায় কর্মরত। দীর্ঘ সময় যাবত তারা এ জেলায় থাকার কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের গভীর সখ্যতা গড়ে উঠে। এ সুবাদে তারা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ সমূহের বিষয়ে কথা হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর-এর সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলমের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমার কাছে অনেকদিন যাবত এ ধরনের একাধিক অভিযোগ আসে। এ সব অভিযোগ আমি যাচাই করি এবং আমাদের মাদক বিরোধী অভিযান ব্যর্থ হওয়ার নেপথ্য কারণ অনুসন্ধান করি। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা আমি পাই। পরে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখি। তিনি আরো জানান, আমি চান্দ্রার জসিমসহ বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর মাদকের সংঘবদ্ধ চক্র আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তবে যত কিছুই হোক মাদকের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়