প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় জন্য সরকারকে এককভাবে দায়ী করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পলিসি রেটগুলো বাড়ানো হয়েছে। চাহিদা কমাতেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বাড়তি মূল্যের দায় সরকারকে দেয়া যায় না।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি বলেন, এই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর পেছনে বাহ্যিক কারণও ভূমিকা রেখেছে। বৈশ্বিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারেও দাম বেড়েছে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
একইসঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ও এক বছরের মধ্যে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সবজি উৎপাদন কম হয়। এ সময়ে মেজর কো-ফসলের হারভেস্টিং হয় না, তাই খাদ্যপণ্যের দাম বেশি থাকে উল্লেখ করেন তিনি।
সরবরাহের ঘাটতি ছাড়া ডিমের দাম বৃদ্ধির অন্য কোনো কারণ নেই বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, এ খাতে অনেক ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎপাদক রয়েছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাও অনেক। এমন পণ্যে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার কোনো সুযোগ নেই।
‘অ্যাভয়ডিং মিডল ইনকাম ট্র্যাপ ইন বাংলাদেশ : লেসন ফ্রম কোরিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্টরা ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, সুষ্ঠু নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সুশাসন নিশ্চিত করার মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে পারবে বলে সেমিনারে উল্লেখ করেন বক্তারা। সূত্র : দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।