মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

পত্রিকাটি পাঠকদের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছে
অনলাইন ডেস্ক

মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেছেন, আমাদের দেশে সকল ক্ষেত্রেই বাজেট থাকে। কিন্তু আমি দেখেছি পত্রিকার ক্ষেত্রে কোনো বাজেট নেই। জেলা ও উপজেলা শহর থেকে একটি পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করায় অনেক খরচ ও বড় কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সাপ্তাহিক দিবাকণ্ঠ আজ থেকে ২০ বছর পূর্বে সাংবাদিক শ্যামল চন্দ্র দাসের সম্পাদনায় যাত্রা শুরু করেছিলো। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ সেই পত্রিকাটি একুশ বছরে পর্দাপণ করেছে। আজকের এই শুভলগ্নে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই শুভেচ্ছা। তিনি আরো বলেন, পত্রিকাটি জন্মলগ্ন থেকে অনেক কষ্ট স্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে গণমানুষের কথা বলে আসছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক যুগ যুগ ধরে। আমি পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরছে দিবাকণ্ঠ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে দিবাকণ্ঠ। দিনের আলোর মতো প্রস্ফুটিত হয়ে উঠুক দিবাকণ্ঠ। পত্রিকাটি সাদাকে সাদা বলছে, কালোকে কালো বলছে। এজন্যে দিবাকণ্ঠ পত্রিকাটি পাঠকদের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছে।

১০ জুলাই মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ। তিনি বলেন, দিবাকণ্ঠ পত্রিকাটি ধারাবাহিকভাবে সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরছে। আমি এই পত্রিকার একজন উপদেষ্টা ও পাশাপাশি নিয়মিত পাঠক। দেখেছি পত্রিকাটি সমাজের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের সুখণ্ডদুঃখের কথা তুলে ধরছে। এছাড়া বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছে। এ ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও যেনো অব্যাহত থাকে। তিনি আরো বলেন, সকল উন্নয়নমূলক সংবাদের পাশাপাশি অন্যায়ের বিরুদ্ধেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরতে হবে। এ জন্যে আমার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। বিশেষ করে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, কিশোর গ্যাংসহ এ ধরনের সংবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করবে। পত্রিকার এই শুভলগ্নে সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস বলেন, সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে দেশ ও সমাজের উন্নয়ন করা সম্ভব। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো আছে বলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সকল তথ্য পাচ্ছি। আর এই তথ্যের ভিত্তিতেই বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে পেরে সে অনুযায়ী তাৎক্ষণিক সমাধান করতে পারছি। সাংবাদিকরা হচ্ছে জাতির বিবেক। সব সময়ই আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। দিবাকণ্ঠ পত্রিকার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

সাপ্তাহিক দিবাকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও মতলব পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম নুরু, মতলব সূর্যমুখী কচিকাঁচার মেলার সভাপতি মাকসুদুল হক বাবলু, মতলব প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ জাকির হোসেন, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস, উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন মজুমদার, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি গণেশ ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক বাদল নন্দী, মতলব প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান আহমেদ জাকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মতলব দক্ষিণ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ রিয়াদুল আলম রিয়াদ, দিবাকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ইব্রাহিম খান জুয়েল, আশিষ সরকার, শ্যামল ভট্টচার্য, দেওয়ান মোঃ মাইনুদ্দিন, মিলন হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দিবাকণ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক গোলাম হায়দার মোল্লা ও সদস্য সচিব সমির ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল হাসনাত, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাহের ভূঁইয়া, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজনিন আফরোজ, মতলব পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কচিকাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ বাদল, মতলব পৌরসভার কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মোহন, মতলব উত্তর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিক লোকমান হোসেন বাবুল, হরিসভা মন্দির কমিটির সভাপতি পিতুষ সাহা, উপাদী উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক তফসিল প্রধান, তাছকিন আহমেদ দিপু, চয়ন ঘোষ, কাকন ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীজন। অনুষ্ঠানের পূর্বে পত্রিকার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মফিজুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয় এবং পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কাটা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়