প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের কালিপুর-বাগানবাড়ি রাস্তার পাশ থেকে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার শিবপুর জাগিদার বাড়ির তাজুল ইসলামের মেয়ে গৃহবধূ পলি আক্তার (২৮)-এর লাশ উদ্ধারের পর হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা প্রধান আসামী কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার শ্রীকান্তদি গ্রামের মুন্সি বাড়ির আদম আলী মুন্সির ছেলে হান্নান মুন্সি(৪৪) কে চট্টগ্রামের ইপিজেড ফ্রি পোর্ট থানার মাইলের মাথা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে আটক করেছে চাঁদপুর পিবিআই। পিবিআই পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পলি বেগমের বড় ভাই ফরহাদ হোসেন সোহাগ মতলব উত্তর থানায় পলির স্বামী মোহাম্মদ আলী প্রকাশ সাদ্দাম ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৩ ধারা ৩০২ /৩৪।
চাঁদপুর পিবিআই টিম ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক শামীম আহমেদের নেতৃত্বে পিবিআই’র অতিরিক্ত আইজিপি বনোজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম এবং পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদের দিকনির্দেশনায় ছায়া তদন্ত টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যার ঘটনার মূলহোতা হান্নান মুন্সিকে শনাক্ত করে। হত্যাকাণ্ডের ৫ দিনের মাথায় গত ৯ জুলাই মূল আসামী হান্নান মুন্সিকে চট্টগ্রাম থেকে আটক করে। পিবিআই-এর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনি হান্নান মুন্সী পলি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, খুনি হান্নান মুন্সি গত ১ জুলাই খুন হওয়া পলি বেগমকে দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে রুবেলের বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে নিয়ে আসে। তারা সেখানে এক রাত্রি যাপন করে। পলি আক্তার কে রুবেলের বাড়িতে রেখে পরদিন হান্নান মুন্সি তার নিজ বাড়ি দাউদকান্দি চলে যায়। সেদিন রাতেই পলি আক্তার বাড়িতে সন্তান প্রসব করে। বিষয়টি রুবেল তার ওস্তাদ খুনি হান্নান মুন্সিকে জানালে সে রাতেই সে রুবেলের বাড়িতে ছুটে আসে। পরদিন ৩ জুলাই হান্নান মুন্সী পলিকে নিয়ে দাউদকান্দি ও আশপাশের এলাকায় গাড়ি চালিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটায়। রাত ৩টার দিকে হান্নান মুন্সি মতলব উত্তর উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামে পলি আক্তারকে নিয়ে আসে। সেখানে সে পলি আক্তারের কাপড় চোপড় দিয়ে গাড়ির ভিতরে তার নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে পলি আক্তারের মরদেহ সড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। রোববার আটক হান্নান মুন্সির দেখানো ও শনাক্ত মতে একটি পুকুর হতে কাপড় চোপড় ও অন্যান্য আলমত উদ্ধার করেছে পিবিআই সদস্যরা।
পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডের ৫ দিনের মাথায় ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও প্রকৃত খুনিকে আমরা আটক করে আদালতে পাঠিয়েছি। আমরা ছায়া তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছি মৃতের পাশে ফেলে রাখা একটি চিরকূটের সূত্র ধরে।