শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ০০:০০

সুন্নিয়তের প্রচার ও প্রসারে অবদান রেখেছেন আল্লামা মানযুর আহমদ
মাহবুব আলম লাভলু ॥

মতলব উত্তরের ফরাজিকান্দি ওয়েসিয়া দরবার শরীফের পীর আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মানযুর আহমদ বোরহানী’র ১১তম উয়েস্বাল শরীফ উদযাপন করা হয়েছে। তিনদিনের অনুষ্ঠানমালার শেষদিন রোববার উয়েসীয়া দরবার শরীফের মাসজিদুল ফাতেমা-তুজ-যাহরা’র সামনের মাঠে উয়েস্বাল শরীফ উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিলে প্রদান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ)-এর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল।

ফরাজিকান্দি ওয়েসিয়া দরবার শরীফের পীর আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মাসউদ আহমদ বোরহানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য সরকার মোঃ আলাউদ্দিন, ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ রেজাউল করীম, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, নেদায়ে ইসলাম পরিচালনা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শামসুজ্জামান ডলার।

আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মানযুর আহমদ বোরহানীর ১১তম উয়েস্বাল শরীফ উপলক্ষে ওয়াজ করেন ফরাজীকান্দি ওয়েসীয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (আদিব হুজুর), ফয়েজিয়া দরবার শরীফের পীর মুফতি গিয়াসউদ্দিন আত্ব তাহেরী’সহ দেশবরেণ্য প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন।

আলহাজ্ব অ্যাডঃ নুরুল আমিন রুহুল বলেন, সুন্নীয়তের প্রচার ও প্রসারে অবদান রেখেছেন এবং বাতেলদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন আল্লামা মানযুর আহমদ। তিনি সুন্নীয়তের পতাকাকে সমুন্নত রাখার জন্য আজীবন বাতেলদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং ক্ষুরধার লেখনী ও অনলবর্ষী যুক্তিপূর্ণ ভাষণের মাধ্যমে বাতেলদের সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করেছেন। তিনিই সকল ভ্রান্ত ধারণার স্বরূপ উন্মোচন করেছেন এবং এসবের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন। তিনি বাতেলদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মোনাজেরায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিজয়ের সাফল্য নিয়ে ঘরে ফিরেছেন। বলা বাহুল্য, তিনি ছিলেন সুন্নীয়তের এক অকুতোভয় সেনাপতি এবং মুজতাহিদ।

তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। তিনি কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বল্পকালীন শাসনামলে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণার্থে গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ভৌত অবকাঠামোগত পদক্ষেপ যেমন ছিল, তেমনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের বিষয়াদি বিবেচনায় রেখে তিনি ইসলামের প্রচার-প্রসারে গ্রহণ করেছিলেন বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকর নানা ব্যবস্থা। তিনি যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনিই। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র, একাডেমি ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, বায়তুল মুকারারম মসজিদের ব্যবস্থাপনা ও উন্নতি সাধন করা, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন, বেতার ও টিভিতে কুরআন তিলাওয়াত প্রচার, কাকরাইল মসজিদের জন্য অতিরিক্ত জায়গা বরাদ্দ, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জন্য স্থান নির্ধারণ, হজযাত্রীদের জন্য ভ্রমণ কর রহিতকরণ, বাংলাদেশ সিরাত মজলিস প্রতিষ্ঠা ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন, ঈদে-মিলাদুন্নবী (সাঃ), শব-ই-কদর, শব-ই-বরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা, সুশীল সমাজ গঠনে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধকরণ এবং শাস্তির বিধান করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়