প্রকাশ : ০১ মে ২০২৩, ০০:০০
শাহরাস্তিতে পুকুরে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গ্রামের উত্তরপাড়া হাজী বাড়ির আমির হোসেনের স্ত্রী আলেয়া বেগম সাড়ে ৩ বছর যাবত নিজ পুকুরে মাছের চাষ করে আসছেন। ঘটনার দিন রাতে ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগের কারণে বিভিন্ন প্রজাতের প্রায় ৫ হাজার মাছ নিধন হয়েছে।
এ বিষয়ে আলেয়া বেগম জানান, আমি খুবই অসহায় একজন গৃহবধূ। আমার স্বামী ঢাকায় একটি চা-পানের দোকানী। অতি কষ্টে সন্তানদের নিয়ে দিনাতিপাত করছি। ৩ লক্ষ টাকা ধারদেনা করে নিজের প্রায় ৫০ শতক পুকুরে সাড়ে ৩ বছর যাবত মাছের চাষ করছি। আধা কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের এবং নানান প্রজাতের প্রায় ৫ হাজার মাছ ছিলো পুকুরে। যার বর্তমান মূল্য ৫ লক্ষাধিক টাকার বেশি। আমি কাউকে দেখিনি। তবে পাশের বাড়ির মুজাম্মেল হকের পুত্র আলমগীর হোসেন এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমি ধারণা করছি। সে ছাড়া আমার কোনো শত্রু নেই। তার সাথে আমার জমি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। সে আমার কাছে জমি বিক্রি করেছে। ১ বছর অতিবাহিত হলো এখনও জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। রেজিস্ট্রি করে দিতে বললে সে রাগে ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করতে আসে। সব সময় আমাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনার ৩ দিন আগে সে কী করতে পারে তা আমাকে দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। এখন আমার দেনার ভার, কনিষ্ঠা কন্যার লেখাপড়ার দায়িত্ব কে নিবে? তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন। এ ব্যাপারে জানতে আলমগীরের বাড়ি গেলে তিনি বাড়ি নেই বলে তার বাসা থেকে জানানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলেয়া অনেক কষ্টে সংসার পরিচালিত করে। ধারদেনা আর অভাবে নিজে মাঠে কাজ করে। পাশের বাড়ির আলমগীর আলেয়ার কাছে জায়গা বিক্রি করেছে। রেজিস্ট্রি না দেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তারা আরও বলেন, কিছুদিন পূর্বে আলেয়া তার জমিতে ধানের বীজ বপন করেছিলেন। ৪/৫ ইঞ্চি হওয়া চারাগুলো উপরে কে বা কারা ঘাস নিধন ওষুধ ছিটিয়ে দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। আলেয়া যতবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ততবারই এলাকাবাসীকে অবহিত করেছে। এধরনের গুপ্ত অপরাধিদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তারা।