প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৩৮
কচুয়ায় বিএনপির অফিস বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এহসানুল হক মিলন তোরণ ভাংচুর
কচুয়ায় গত সোমবার বিকেলে উপজেলার ১নং সাচার ইউনিয়নের বায়েক মোড় বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতা শরীফ হোসেন ও ছাত্রদল নেতা মাসুমের নেতৃত্বে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। তারা এহছানুল হক মিলনের গ্রুপের যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই মারধর করেছে, দোকানপাট ভাংচুর করে গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে এবং স্থানীয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়ায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের গ্রুপের নেতা শরিফ হোসেন ও ছাত্রদল নেতা মাসুমের (মামুন দেওয়ানের ছেলে) নেতৃত্বে দফায় দফায় বায়েক বাজারের ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ও বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। এতে জয়নগর গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে আবু সাঈদ (২৮), বায়েক গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে সাব্বির, বায়েকের মনির হোসেনের ছেলে মাইনুদ্দিন, সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মহিউদ্দিন, জয়নগরের মহিবুল্লাহসহ আরো অনেকে আহত হন। আহতরা প্রাণ ভয়ে দূর দূরান্তের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুর্বৃত্তরা হামলার সময় যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই আক্রমণ করেছে। বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লার দোকান ও বাড়ি-ঘরে হামলা করেছে। বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ'র নাদিয়া ভ্যারাইটিজ স্টোরে হামলা চালিয়ে সামনে থাকা একটি বড়ো সাইজের ফ্রিজ ভাংচুর করেছে।এহছানুল হক মিলনের সমর্থনে নির্মিত তোরণ, তোরণে সাঁটানো ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার সব ধ্বংস করে ফেলেছে। বায়েক বাজারে অনেক ফেস্টুন সাঁটানো ছিল, যার সবক'টি ফেস্টুন ধ্বংস করে ফেলেছে। গৌরিপুর-সাচার-কচুয়া মহাসড়কে বায়েক বাজারের দুধারে মিলনের সমর্থনে দুটি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই দুটো তোরণ ভাংচুর করেছে। এছাড়া এহছানুল হক মিলনের বায়েকের বাড়ির কাঠের তৈরি গেইট ভাংচুর করেছে।
সাচার বাজারে অবস্থিত ছাত্রদলের অফিস ভাংচুর করেছে, অফিসের আসবাবপত্র ধ্বংস করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং সাধারণ জনতার ভাষ্য মতে, যেহেতু সকল ধ্বংসযজ্ঞ মিলন সমর্থকদের করেছে, সেহেতু মোশাররফ গ্রুপের নেতা-কর্মীরাই সকল ঘটনা ঘটিয়েছে।
কচুয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী সেলিম বলেন, যারা এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ করেছে তারা দলের কেউ নয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কচুয়ায় এহসানুল হক মিলনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল এ ধরনের ধ্বংসলীলা চালায়। আমি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।এ ব্যাপারে মোশাররফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কচুয়া বিএনপির একমাত্র অভিভাবক। বিএনপির কারো ক্ষতি মানে আমার ক্ষতি। সুতরাং আমার কর্মীরা বিএনপির কারো গায়ে কখনো আঁচড় দিতে পারে না। এটা আমার প্রতিপক্ষের সাজানো নাটক এবং ষড়যন্ত্র।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. আবদুল হালিম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির দুগ্রুপের কেউ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করে নি। ক্ষতিগ্রস্ত কেউ অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।