প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:০০
গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ফরিদগঞ্জে আসমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর খুনি দাবি করে তাদের বিচারের চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্বজনরা। বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে কয়েকশত নারী পুরুষ অংশ নেয়। জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের রাঢ়ি বাড়ির হানিফ রাঢ়ির ছেলে মাসুমের সাথে চরমথুরা গ্রামের হাফেজ খানের মেয়ে আসমার ইসলামী শরিয়াহ মতে গত প্রায় ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ১৮ মাস বয়সী আয়ান নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে আসমার স্বামী মাসুুম মালেয়শিয়াতে থাকলেও তার শ্বশুড়-শাশুড়ি ও দুই দেবর সাইমুন (২২) ও শাহীন(১৭)সহ একসাথে একঘরেই থাকতেন। কিন্তু গত শনিবার ( ২নভেম্বর) রাতে আসমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আসমার ভাইসহ অন্যদের জানানো হয়।
আসমার মরদেহের পোস্ট মর্টেমের পর দাফন পূর্ব গোসলের সময় গোপনস্থানসহ কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। থানা পুলিশও তাদের সুরতহাল রির্পোটে শরীরে লালচে দাগের কথা উল্লেখ করে। আবার এই ঘটনার আসমার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নানামুখি আচরণ ও দুই দেবরের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে আরো রহস্যময় করে তোলে। ফলে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে এলাকাবাসী ও আসমার স্বজনরা। এরই জের ধরে বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও আসমার স্বজনরা আসমাকে নির্যাতন পূর্বক খুন করা হয়েছে দাবি করে। একই সাথে এই খুনের সাথে আসমার দুই দেবর সাইমুন ও শাহীন জড়িত দাবি করে তাদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। উপজেলা সদরে বিক্ষোভ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে। পরে মিছিল নিয়ে কয়েকশত নারী পুরুষ কিছু সময়ের জন্য সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের আটকের দাবিতে থানায় অবস্থান নেয়। পরে তারা অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে থানায় অবস্থান কালিন সময়ে বক্তব্য রাখেন আসমার বড় ভাবী ফাতেমা বেগম,ভাই রুবেল খান, মিনু আক্তার, ফাবিয়া, খোন পাাটওয়ারী, শরীঢ হোসেন, শাহাদাত হোসেনসহ বিক্ষুব্ধরা বলেন, আসমার লাশের শর গোসল করানোর সময় তার শরীরের স্পর্শকাতর কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অথচ বলা হয়েছিল সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন নিশ্চিত করে তাকে যৌন ও শারিরিক নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ আম গাছে ঝুলিয়ে ফাঁিস দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। আমরা অভিযুক্তদের বিচার শেষে ফাঁসি দাবি করছি।