প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার ভ্যাকসিন দিতে প্রস্তুতি শুরু, প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
জেলায় দেয়া হবে ১ লাখ ৮১ হাজার ৮শ’ জনকে
করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আগামী ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তুতি কাজ শুরু করে দিয়েছে চাঁদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ। যারা ভ্যাকসিন দিবেন অর্থাৎ টিকাদানকারী তাদের প্রশিক্ষণ গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। একইসাথে সুপারভাইজারদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সোমবার থেকে শুরু হয় দুইদিনের এই প্রশিক্ষণ। স্বাস্থ্য বিভাগের (পরিবার-পরিকল্পনাসহ) মাঠ পর্যায়ের সকল স্বাস্থ্য কর্মীকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আর পৌরসভার প্রশিক্ষণ হয়েছে পৌর ভবনে বা সুবিধাজনক স্থানে।
|আরো খবর
আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়ে ১২ আগস্ট শেষ হবে এই টিকাদান কার্যক্রম। চাঁদপুর জেলায় ১ লাখ ৮১ হাজার ৮শ’ জনকে এই টিকা বা ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের টিকাদানকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ হয়েছে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা বেগম পলিন। তাঁর সাথে ছিলেন ডব্লিউএইচও’র মেডিকেল অফিসার ডাঃ মালিহা পারভিন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডাঃ লাম ইয়া নূর। ডাঃ পলিন জানান, তাঁর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের জন্যে ৬ জন করে ৮৪ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ জন সুপারভাইজারসহ মোট ১৩২ জন এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
চাঁদপুর পৌরসভার জন্যে টিকাদানকারীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ঈসা রুহুল্লাহ। পৌর এলাকার জন্যে প্রায় ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এই ভ্যাকসিনের বিষয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রথম ধাপে চাঁদপুর জেলার ৯২টি ইউনিয়ন ও সাতটি পৌরসভায় মোট ১ লাখ ৮১ হাজার ৮শ’ জনকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এর মধ্যে ৯২টি ইউনিয়ন ও পাঁচটি পৌরসভায় (চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ পৌরসভা ব্যতীত) ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬শ’ জনকে, আর চাঁদপুর পৌরসভায় ৯ হাজার ও হাজীগঞ্জ পৌরসভায় ৭ হাজার ২শ’ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। তিনি আরো জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে তিনটি বুথে তিনদিন এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম। ১২ আগস্টের মধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে একযোগে এই ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ শুরু হবে। তবে যে সব ইপিআই কেন্দ্রে টিকা দেয়ার নির্ধারিত তারিখ পূর্ব থেকে ৭ আগস্ট রয়েছে, সে সব ইউনিয়নে বা পৌরসভার ওয়ার্ডে ৭ আগস্টের পরিবর্তনে ৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে সিভিল সার্জন জানান। তিনি আরো জানান, এই ভ্যাকসিনটা হচ্ছে চায়নার সিনোফার্ম ভ্যাকসিন। চাঁদপুর জেলার উল্লেখিত জনগোষ্ঠীকে দ্বিতীয় ডোজসহ এই টিকা দিতে হলে ৯০ হাজার ৯শ’ ভায়াল লাগবে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, ১৮ বছর থেকে সববয়সী মানুষকে এই টিকা দেয়া হবে। তবে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী জনগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই হবে, রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। আর ২৫ থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের রেজিস্ট্রেশন করে যাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও কেউ রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গেলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে না, তাকেও টিকা দিয়ে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।