প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশসহ সাত দফা দাবিতে ২৬ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশে লাগাতর ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নৌযান শ্রমিকরা। সে কারণে রোববার ভোর ৬টা থেকে চাঁদপুরেও সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিআইডব্লিটিএ’র চাঁদপুর লঞ্চঘাটের টিআই আঃ রহমান জানান, রোববার ভোর ৬টা থেকে কোনো লঞ্চ চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি এবং কোনো লঞ্চ আসেনি। শুধুমাত্র শরীয়তপুর সুরেশ্বর থেকে এমভি শাহ আলী নামক দেড়তলা বিশিষ্ট একটি লঞ্চ সকাল দশটার পর আসলেও সেটি ঘাটেই বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে দূরদূরান্ত থেকে অনেক যাত্রী চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আসলেও লঞ্চ চলাচল না করায় যাত্রীরা ঘাটে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য হঠাৎ লঞ্চ ধর্মঘটের ফলে বিপাকে পড়েন তারা।
যাত্রীরা ক্ষোভের সাথে বলেন, হঠাৎ লঞ্চ ধর্মঘট কেন? আগেভাগে জানিয়ে দিলে তারা এমন সমস্যায় পড়তেন না।
নৌযান শ্রমিকরা জানায়, গত সাত বছরে কয়েক দফা দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। মজুরি-ভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় নৌযান শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এখন তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই সাধারণ শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখে নৌযান শ্রমিকরা অলস সময় অতিবাহিত করছে। চাঁদপুরের লঞ্চগুলো মেঘনা নদীর চাঁদপুর লঞ্চঘাটের অদূরে বয়ার সাথে নোঙ্গর করে এবং শহরের ডাকাতিয়া নদীর কয়লাঘাট লঞ্চ ঘাটে বেঁধে রাখা হয়েছে।