বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক

হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে চিনির বাজার। সংকটের কথা বলে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অনেক এলাকায় প্যাকেটজাত চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চাহিদার বিপরীতে দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি করা হয়েছে। সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই। রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় এ বছর চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। শিগগিরই আরো ১ লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে। একটু তদারকি করলে চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছিল। এ বছর প্রথম নয় মাসে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। যার সিংহভাগই আমদানি করতে হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্প্রতি দেশের বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। সংকটের কারণে এ দাম বেড়েছে এমন কথা বলা হচ্ছে। এ তথ্য সঠিক নয়। ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে। শিগগিরই আরো এক লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হবে। তাই দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি হয়েছে। যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একটু বিশেষ তদারকি করে তাহলে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংকটের কথা বলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে খোলা চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি অনেক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা বলছেন, জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা খেলায় মেতেছেন। তারা সরকারের কোনো নিয়মণ্ডনীতি মানছেন না। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে চিনির উৎপাদন কমেছে। যে কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর বেশির ভাগ দোকানে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ কিংবা তিনদিন আগের কেনা চিনি কিছু কিছু দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিতে। বাজার ও দোকানগুলোতে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। এই দোকানগুলোতে এক সপ্তাহ আগেও চিনি বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকা কেজিতে। আর প্যাকেটজাত চিনি ছিল ৯৫ টাকা কেজি।

গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং এখন উল্টো দাম বাড়ছে।

সরকারি তথ্য মতে, দেশে চাহিদার বড় একটি অংশ মেটানো হয় আমদানি করা চিনির মাধ্যমে। এই চিনি আমদানি হয় মূলত সিটি, মেঘনা, এস আলম, ইগলু ও দেশবন্ধু গ্রুপের মাধ্যমে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়