প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ১৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অতি আদরের ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে। বেলা ১২টায় কলেজ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে আনন্দ র্যালি বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে। বেলা সাড়ে ১২টায় কলেজ মাঠের পাশে স্মারকবৃক্ষ রোপণ করা হয়।
দুপুর পৌনে ১টায় কলেজ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের সভাপ্রধানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসানের উপস্থাপনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আল-আমিন। পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক গোপাল কৃষ্ণ ভৌমিক। শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকলের জন্যে দোয়া করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল হাছান ও কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার। বক্তাগণ শিশু রাসেলের জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, ‘আজ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় পুত্র, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অতি আদরের ছোট ভাই, নির্মলতার প্রতীক, নির্ভীক শেখ রাসেলের ৫৯তম শুভ জন্মদিন। বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক, খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে প্রিয় পুত্রের নাম রাখেন শেখ রাসেল। শৈশব থেকেই দূরন্ত, সদা হাসিখুশি, প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন সকলের অতি আদরের। মাত্র ৭ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে পরিবারের সকলের সাথে গৃহবন্দী হন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদরের দুলাল মাত্র ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিন বেঁচেছিলেন। ঘাতক নরপিশাচরা বাঁচতে দিল না শিশু রাসেলকে। আমরা রাসেল হত্যার বিচার চাই। ঘাতক নরপিশাচদের হাত থেকে বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখতে চাই। আগামী দিনের শিশুরা উজ্জ্বল, আনন্দময়, সুস্বাস্থ্য, সুশিক্ষা ও পরমায়ু নিয়ে নিরাপদে বেড়ে উঠুক, শেখ রাসেল দিবসে এই আমাদের প্রত্যাশা।
আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ শেখ রাসেল দিবসের সকল কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।