বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে শিল্পপতি এমএ হান্নানের বাড়িতে যুবদল নেতাকে বেধড়ক পিটুনি
বিশেষ প্রতিনিধি ॥

ফরিদগঞ্জে বিএনপির সমন্বয়কের বাড়িতে নিজ দলীয় নেতৃবৃন্দের হাতে প্রহৃত হয়েছেন যুবদল উপজেলা সদস্য সচিব আবদুল মতিন। আহতাবস্থায় তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। মারধরের ঘটনার সাথে জড়িত যুবদল পৌর কমিটির আহ্বায়ক ইমাম হোসেন ও তার ভাই সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন। মতিনকে মারধরের প্রতিবাদে ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

৫ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে বিএনপি ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়কারী এমএ হান্নানের বাড়িতে। এতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শোল্লা গ্রামের বাড়িতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ডেকে নেন এমএ হান্নান। সেখানে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা চলছিল।

হাসপাতালে ভর্তিকৃত অবস্থায় আহত আবদুল মতিন বলেন, নেতৃবৃন্দের আলোচনার এক পর্যায়ে সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মঞ্জিল হোসেন বলেন, আমরা না থাকলে ফরিদগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচি পালন হবে না। তার ওই কথায় বাধা দিয়ে আমি বলি, গত প্রায় ১৪ বছর আপনারা দলের কোনো কর্মসূচি পালন করেন নাই। তখন বিএনপির কর্মসূচি পালন করেছে কে? এ কথার পর অতর্কিতভাবে যুবদল পৌর কমিটির আহ্বায়ক ইমাম হোসেন আমাকে পিছন থেকে ঘুষি দেন। একই সময়ে ইমামের সহোদর মঞ্জিল হোসেন আমার নাকে ঘুষি দেন। তার সহযোগী আমজাদ হোসেন শিপন চেয়ার দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন। এতে আমার নাকে আঘাত লেগে রক্ত বের হয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। দলের অন্য নেতৃবৃন্দ তাদের থামান। এরপর আমি রাত ১০টা নাগাদ ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই।

এ ব্যাপারে ইমাম হোসেন বলেছেন, আমি তাকে একটি ধাক্কা দিয়েছি। মিছা কথা কইতে পারমু না, পরে শুনছি তার নাক ফাটছে। এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কীভাবে নাক ফাটছে আমি জানি না। তিনি বলেন, আর কেউ তাকে মারে নাই।

এ ব্যাপারে জানার জন্য মঞ্জিল হোসেনকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিএনপি ফরিদগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান দুলাল বলেন, আবদুল মতিনকে সকলের সামনেই মারধর করা হয়েছে। বিএনপির উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও যুবদল উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক মহসিন মোল্লাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মতিনকে মারধরের ঘটনায় নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।

মতিনকে মারধরের ঘটনা স্বীকার করে বিএনপি উপজেলা কমিটির সভাপতি শরীফ মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, গত ১৪ বছর মঞ্জিল হোসেন ও তার ভাইয়েরা আওয়ামী লীগের দালালি করেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি সফল করতে ভূমিকা রেখেছে। দলটা একটা ইন্ডাস্ট্রির মতো হয়েছে। একেক সময় একেকজন নেতা হয়ে আসে, আর আমরা কর্মচারীর মতো খাটি।

এদিকে বিষয়টি জানার জন্যে এমএ হান্নানকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে আবদুল মতিনের খোঁজ খবর নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়