প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
সংখ্যালঘু বলতে কোনো কিছু বুঝি না, আমরা সবাই বাঙালি-এটাই আমাদের পরিচয়। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গেলে এসব কথা বলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইন।
তিনি বলেন, আপনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে মনে করেন যে, আপনারা সংখ্যালঘু। আসলে এটা আমাদের কোনো পরিচয় হতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকার সকল ধর্মের জন্যে সমান অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। আমাদের হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি শত বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটা উৎকৃষ্ট জায়গা ছিলো, যার উপর কলঙ্ক লেপন করা হয়েছে গত বছরের পূজায়। আমরা সেই দুঃসহ স্মৃতি আর দেখতে চাই না। আমরা একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা সেটি ঘটিয়েছে তোমাদের আর সেই সুযোগ আসবে না, যতোদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকবে, আমরা তাঁর সৈনিকরা এ ধরনের উৎসবে কোনো অপশক্তিকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে দিবো না। শেখ হাসিনার সরকার দেশে সকল ধর্মের জন্যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। তিনি বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাধাকান্ত দাস (রাজু), সাধারণ সম্পাদক শ্যামল সাহা, ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুর রহমান বেলাল, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাহবুব আলম, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি খোকন এবং উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
শাহরাস্তি উপজেলায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিন্টু, কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তুষার, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল, আওয়ামী লীগ নেতা পলাশ মজুমদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হোসেন মীর, নেছার পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইস্কান্দর মিয়া সুমন, সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, উপ-সম্পাদক ওমর ফারুক, সদস্য সুমন মিয়াজীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতৃবৃন্দ।