প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে বেড়ানো এবং ছুটি না নিয়ে প্রায় ১০ দিন ধরে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকা সেই শিক্ষক আবদুর রহমান এবার নিলেন চিকিৎসা ছুটি। সম্পত্তিগত একটি মামলা জটিলতায় উক্ত শিক্ষককে পুলিশ খুঁজছে। আবদুর রহমান হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর মকবুল আহেমদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার এমপিওভুক্ত ক্বারী শিক্ষক।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের লোধপাড়া গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মৃত ইদ্রিস মাস্টারের ছেলে আবদুর রহমান ও জাকির হোসেন। বাড়িতে সম্পত্তিগত বিরোধে ২৭ আগস্ট আব্দুর রহমান তার ভাই ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে মারাত্মক আহত করে। আহত জাকির হোসেন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ক’দিন চিকিৎসা নিয়েছেন। এ তথ্য জাকির হোসেনের। এরপরেই জাকির হোসেন বাদী হয়ে আবদুর রহমানকে আসামী করে চাঁদপুরের আদালতে মামলা করেন গত ৩১ আগস্ট। আদালতের অনুমোদনক্রমে মামলাটি হাজীগঞ্জ থানায় নথিভুক্ত হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। মামলা নম্বর ৪৮৭/২২ খ্রিঃ। এরপর থেকে আবদুর রহমান পলাতক রয়েছেন। পলাতক থাকাবস্থায় আব্দুর রহমান মাদ্রাসা থেকে চিকিৎসা ছুটিতে চলে যান।
এ বিষয়ে জানতে আবদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আবদুর রহমানের মাদ্রাসার সুপার মাওঃ নূরউদ্দিন জানান, প্রথম দিকে ৮/১০ দিন ধরে আবদুর রহমান মাদ্রাসায় ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে আবার তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত ছুটি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমি তাকে শোকজ করার পরে তিনি শোকজের উত্তর দিয়েছেন। চিকিৎসাজনিত ছুটি পূর্ণ হওয়ার পর মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ যোবাইর সৈয়দ জানান, আমরা আবদুর রহমানকে গ্রেফতারের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ছুটি না নিয়ে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে আম রা শোকজ করবো। গভর্নিং বডি সাময়িক বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে। মামলার আসামী হয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত ছুটির বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেবো।