প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২১, ০০:০০
‘গ্রাম থেকে করোনা রোগীদের যেনো শহরে পাঠিয়ে দেয়া না হয়। উপজেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের ভর্তি এবং চিকিৎসা করতে হবে। জেলা সদরে যে রোগী পাঠানোর প্রয়োজন হবে, শুধুমাত্র সে রোগীকেই শহরে পাঠাবে। করোনার প্রাথমিক পর্যায়ের রোগীদের চিকিৎসা অবশ্যই উপজেলার হাসপাতালগুলোতে করতে হবে’। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ সভায় দেশের সকল জেলার সিভিল সার্জনদের এই নির্দেশনা দেয়া হয়। আরো নির্দেশনা দেয়া হয়-দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যাকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করার জন্যে। এসব তথ্য জানান চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ।
তিনি জানান, গতকাল দেশের সকল জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজের পরিচালকদের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ সভা হয়েছে। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, সকল বিভাগীয় পরিচালকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ সব সিদ্ধান্ত ছাড়াও আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়েও আলোচনা হয়।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সক্ষমতা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর কণ্ঠকে সিভিল সার্জন জানান, অবশ্যই আছে। করোনার চিকিৎসা তো বিশেষ কোনো চিকিৎসা নয়। নরমাল কিছু ঔষধ আর কিছু নিয়ম মেনে চলা। তিনি বলেন, কোনো রোগীর অক্সিজেন লেভেল ৯০ পর্যন্ত থাকলে তাকে হাসপাতালেই আনার প্রয়োজন নেই। ৯০'র নিচে নেমে গেলে রোগীর বয়স এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবে। এরপর অক্সিজেন সাপোর্ট খুব বেশি লাগলে তখন তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারে।