বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

নীতির রাজা এখন রাজার নীতি হয়ে গেছে! সেখানে শুধু অপরাজনীতির চর্চা হয়
নূরুল ইসলাম ফরহাদ ॥

আনোয়ার হোসেন সজিব, রাজনৈতিক অঙ্গনে যতটা না পরিচিত মুখ, তার চেয়ে অধিক পরিচিত ক্রীড়াঙ্গনে। দলমত নির্বিশেষে ফরিদগঞ্জ সদরে আনোয়ার একজন অতি পরিচিত এবং প্রিয় মুখ। শিশুকাল থেকেই যে ছেলেটি খেলা নিয়ে পড়ে থাকতো, কে জানতো বড় হয়ে সে একদিন রাজনীতিও করবে। ব্যবসা এবং খেলার মাঝখানে রাজনীতিতেও সময় দিয়েছেন ২৬ বছর। রাজনীতিতে কিছু করার সময়কালে তার দল ছিলো ক্ষমতাসীনদের অপজিশনে। তাই নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ আসেনি। একই কারণে এলাকার মানুষকেও প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দিতে সক্ষম হননি। তবে সুযোগ পেলে তিনি যে একজন দক্ষ মাঝি হবেন তার প্রমাণ তিনি ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। ফরিদগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নির্বাচনে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোটারদের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এ ভোটই প্রমাণ করে দেয়, তিনি তরুণ বয়সেই কতোটা জনপ্রিয় এবং ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের হৃদয়ে কতটুকু জায়গা করে নিয়েছেন।

একজন সৎ এবং পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি জয় করে নিয়েছেন মানুষের মনকে। নির্বাচনের পর থেকে শত সীমাবদ্ধতার পরও দক্ষ হাতে পরিচালনা করছেন বাজার ব্যবসায়ী কমিটিকে। সাধারণ মানুষ এবং তার ব্যবসায়ী ভাইদের বিপদে-আপদে দৌড়ে যান তিনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শন এবং আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোটবেলা থেকেই বিএনপির প্রতি দুর্বল ছিলেন আনোয়ার। তাইতো বড় হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির রাজনীতিতেই সম্পৃক্ত হন। এ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য হিসেবে। গ্রুপিং রাজনীতির কারণে এবং তার নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিতে পারছেন না বলে বর্তমানে তিনি বিএনপির পদশূন্য একজন নিবেদিত কর্মী। তারপরও বিএনপিকে ভালোবেসে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলের ডাকে সাড়া দিয়ে যাচ্ছেন।

মোঃ আনোয়ার হোসেন সজিব পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ‘রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলাপচারিতায় তার ভাবনা নিচে তুলে ধরা হলো:-

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে যে কোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন কিসের নিরিখে হয়? এ জন্যে কী কী করতে হয়?

মোঃ আনোয়ার হোসেন সজিব : এক সময় তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতাদের মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দেওয়া হতো। কিন্তু এখন ব্যতিক্রম দেখা যায়। বর্তমানে টাকা ছাড়া মনোনয়ন কল্পনাও করা যায় না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : স্থানীয় পর্যায়ে নিজ দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল কী কী কারণে হয় বলে আপনার ধারণা?

মোঃ আনোয়ার হোসেন সজিব : কোন্দল মূলত পদণ্ডপদবী নিয়ে হয়ে থাকে। নীতির রাজা এখন রাজার নীতি হয়ে গেছে! রাজনীতিতে বর্তমানে অপরাজনীতি চর্চা হচ্ছে। একজন আরেকজনকে কীভাবে টেনে নিচে নামাবে সে চর্চাই হয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এ কোন্দল নিরসনে জেলা পর্যায় বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতার সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের হুঙ্কার সাধারণত দ্রুত উচ্চারিত হয় না। এটার কারণ কী?

মোঃ আনোয়ার হোসেন সজিব : কেন্দ্রীয় নেতারা ইচ্ছা করলে উদ্যোগ নিতে পারেন। কিন্তু কেন জানি নেন না। যেমন ধরুন, কেন্দ্রীয় নেতারা একবারের জন্যেও মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী, লায়ন হারুন এবং হান্নান সাহেবকে নিয়ে বসেননি। আমার বিশ্বাস, বসলে তাদের মধ্যে ঐক্য তৈরি হতোই। সেই সাথে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আগের ঐতিহ্য ফিরে পেতো এবং দল হতো শক্তিশালী।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দলের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় কিংবা সাধারণ বর্ধিত সভায় খোলামেলা অনেক কথা হয়। অনেক তিক্ত সত্য কথা উচ্চারিত হয়। এগুলো কি আদৌ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়?

মোঃ আনোয়ার হোসেন সজিব : হয় না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা ও দলীয় গঠনতন্ত্র যথাযথভাবে মেনে চলার গুরুত্ব কতোটুকু?

মোঃ আনোয়ার হোসেন সজিব : দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে চলা উচিত। কিন্তু বর্তমানে অবস্থা দেখলে মনে হয় এটা কঠিন একটা বিষয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি মনে করেন আপনার দলে উক্ত চর্চা মেনে চলার কাজটা যথাযথভাবে হচ্ছে?

মোঃ আনোয়ার হোসেন সজিব : শতভাগ হচ্ছে না, তবে চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়