প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২২, ০০:০০
বৃহস্পতিবার থেকে মোটামুটি কোরবানি পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। তবে কোরবানি পশুর চেয়ে ক্রেতার পরিমাণ অনেকটাই কম দেখা গেছে। এমন চিত্র সদর উপজেলার বাবুরহাট আর হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারের। অন্য বছর থেকে এবারে বাজারে ইন্ডিয়ান মানে বোল্ডার গরু নেই বললেই চলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার বাবুরহাট পূর্ব বাজারে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর আর হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে গরু আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গরু বাজার কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বেলা ১টার মধ্য গরুতে বাজার ঠাসা হয়ে যায়। এ সময় উভয় বাজারের চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের দু পাশে গরুতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বিকেল পর্যন্ত ক্রেতারা বাজার ঘুরেছে কিন্তু গরু ক্রয় করেনি। বিকেলের পর থেকে হঠাৎ করে গরু ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়, যা চলে রাত পর্যন্ত। তবে অন্যবারের চেয়ে এবার এখনো চাহিদা হিসেবে পশু বিক্রি হচ্ছে না।
সরেজমিনে বাকিলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি প্রচুর গরু রয়েছে। বিশেষ করে গৃহস্থের পালিত গরু এবারে বাজারে প্রচুর এসেছে। মধ্যম মানের গৃহস্থের পালিত গরুর দাম ৯ হাজার থেকে ১ লাখ ২০/২৫ হাজারে, বড় ষাঁড় দেড় লাখ থেকে পৌনে দুই লাখে আর বড় গরু ১ লাখ ৮০ হাজারের উপরে দাম হাঁকা হচ্ছে। দুই লাখ টাকা কিছু গরুর দাম হাঁকা হলেও ক্রেতা তাতে সায় দিচ্ছে না।
সরেজমিনে বাকিলা বাজারে আরো দেখা যায়, অন্যবারের তুলনায় কোনো ইন্ডিয়ান গরু তথা বোল্ডার গরু বাজারে আসেনি। যেখানে অন্যবার পুরো বাজারে ৫ হাজার আসতো, সেখানে এ বছর ১শ’ ইন্ডিয়ান গরু দেখা যায়নি।
বাকিলা বাজারের ইজারাদার অমল ধর জানান, বাজারে প্রচুর গরু এসেছে। তবে তুলনামূলক গরু বিক্রি কম হচ্ছে।