প্রকাশ : ১০ জুন ২০২২, ০০:০০
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতার মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে।
৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার আহ্বানে ও ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতার অংশগ্রহণে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি ফরিদগঞ্জ বাজার হয়ে কালিরবাজার চৌরাস্তা ও ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অতিক্রম করে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের প্রাণের নবীর বিরুদ্ধে যখন কেউ কথা বলবে, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম কখনোই তা মেনে নিবে না। ভারতের সেসব কুলাঙ্গারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়া হলে আরো কঠোর কর্মসূচির ডাক দেয়া হবে। বিশ্ব নবীকে অবমাননাকারীদের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। দেশের কোটি মুসলিম যদি আইন হাতে নেয় তাহলে নাস্তিকরা পালানোর সুযোগ পাবে না।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মুফতী এইচএম আনোয়ার মোল্লা তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি জানাতে চাই, অতি শীঘ্রই সংসদে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দার প্রস্তাব পাস করানো চাই। ভারতের ওই কুলাঙ্গারদের গ্রেফতার করে বিচারের নামে মুলা ঝুলানোর জন্যে নয় বরং বিশ্বনবীকে অবমাননা করার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে তাদের।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ মঞ্জিল হোসেন, সন্তোষপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আবুল হাছান মোঃ ছাইফুল্লাহ, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস আলহাজ্ব মাওলানা মমিনুল ইসলাম খান, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার ফকীহ্ মাওলানা হেলাল উদ্দিন আল কাদেরী, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতীব মাও মোঃ ইউনুস, তুলাতলী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আনোয়ার আমিনী।
সমাবেশে ও মিছিলে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ থানা জামে মসজিদের খতিব মাওঃ হোসাইন ফারুকী, ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নজরুল ইসলামসহ কয়েক হাজার ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বে একটি টকশোতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বিজেপির নুপুর শর্মা। পরে তার বক্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন দলের মিডিয়া ইনচার্জ নবীন কুমার জিন্দাল। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিলে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের দুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।