রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২২, ০০:০০

মতলব উত্তরে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর হামলা ॥ প্রতিবাদে মানববন্ধন
মাহবুব আলম লাভলু ॥

মতলব উত্তর উপজেলয় কিশোর গ্যাংয়ের আঘাতে মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ৫ জুন রোববার এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের খন্দকারকান্দি মাদ্রাসায়। এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল নূর মোহাম্মদ মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ৬ জুন সোমবার মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে খন্দকারকান্দি মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর এ হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এলাকার কিশোর গ্যাং কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক মাদ্রাসার আম, কাঁঠালসহ অন্যান্য চুরি করে নিয়ে যায়। এতে মাদ্রাসার ছাত্ররা বাধা দিলে তারা ছাত্রদের গালমন্দ ও মারধর করে।

সেই ঘটনার সূত্র ধরে ৫ জুন রোববার বিকেলে উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের খন্দকারকান্দি গ্রামের আবু তালেব সরকারের ছেলে মোঃ সাকিব (১৮), বাহার উদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ অন্তর (১৭), বোরহান সরকারের ছেলে রায়হান (১৮), জসিম উদ্দিন মৃধার ছেলে মোঃ জিয়াম (২০), তোফায়েল (২৩), আব্দুল হাকিম বাচ্চু সরকারের ছেলে নাঈম সরকার (১৮), গিয়াস উদ্দিন সরকারের (আব্দুস ছামাদ মৃধা) ছেলে রাশেদুল ইসলামসহ আরো ৭/৮ জন মিলে মাদ্রাসার কাঁঠাল পাড়তে গেলে ছাত্ররা বাধা দেয়। তখন এরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সাথে থাকা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ছাত্রদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। তাদের চিৎকারে মাদ্রাসার শিক্ষকরা এগিয়ে এলে তাদেরকে চাইনিজ কুড়াল ও রড দিয়ে আঘাত করে। এতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন খন্দকারকান্দি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ আবু হানিফ (৬০), ভাইস প্রিন্সিপাল নূর মোহাম্মদ (৫৬), সহকারী শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেন, ছাত্র রিয়াদুল ইসলাম (১২) ও মোঃ সাব্বির (১৮)। এদের মধ্যে শিক্ষক ৩ জন গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রিন্সিপাল মোঃ হানিফ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রের উপর হামলা এটা মেনে নেয়ার মতো নয়। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তরিৎ আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধনে মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল নূর মোহাম্মদ, সিনিয়র শিক্ষক হুমায়ুন কবির মিয়াসহ অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করা প্রিন্সিপালসহ ৩ শিক্ষক ও ২ ছাত্রের উপর যারা হামলা করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে যথাযথ শাস্থির ব্যবস্থা নিতে হবে। সমাজের এমন নোংরা ঘটনাগুলো সমাজের জন্যে ক্ষতিকারক।

সমাজের শিক্ষিত ও যুব সমাজ যদি সচেতন হয়ে উঠে তাহলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা থেকে সমাজকে মুক্ত করা যেতে পারে। সমাজের মানুষ যদি চায়, প্রশাসনের যদি আন্তরিকতা থাকে তাহলে আসামী গ্রেপ্তার হবেই।

এ হামলার যদি প্রকৃত বিচার না হয়, তাহলে আগামীতে কোনো শিক্ষকের মান মর্যাদা থাকবে না। অতএব হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্থির ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে অনুরোধ করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়