রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২২, ০০:০০

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করতে সদর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা চাই
গোলাম মোস্তফা ॥

চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ যোগদানের পর থেকেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে কাজ করে চলছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাঁদপুরের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)-এর নির্দেশনায় সদর মডেল থানা এলাকাকে অপরাধমুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এজন্যে নানা কৌশল অবলম্বন করে অল্পদিনের মধ্যেই সকল স্তরের জনগণের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন এবং সুনাম অর্জন করেছেন। থানায় কর্মরত ইন্সপেক্টর, এসআই, এএসআই ও নারী-পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁর দিকনির্দেশনায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

মুহাম্মদ আবদুর রশিদ ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তারপর এই থানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধাধরা কাজ থেকে বের হয়ে আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে কর্মতৎপরতা চালিয়ে পুরো জেলার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৪ মাসে সফলতা অর্জন করেছেন বেশ ক’বার। ইতোমধ্যে জেলা পুলিশের মাসিক মূল্যায়ন সভায় ৮টি থানার মধ্যে ৪ বার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হন। ১ বছরে ৪ বার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন অক্ষুণœ রেখে নিজের সুনাম ধরে রাখার রেকর্ড খুব কম কর্মকর্তার রয়েছে।

তিনি সদর মডেল থানায় দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এই থানা এলাকায় ইতোমধ্যে যে ক’টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে, সে ঘটনাগুলোর ক্লু উদ্ঘাটনে কাজ করতে গিয়ে কখনো ঘটনার ২৪ ঘন্টা বা ১ দিন, কখনো ৪৮ ঘন্টা বা ২ দিন, কখনো ৭২ ঘন্টা বা ৩ দিনের মধ্যে হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন এবং মূল আসামী আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। বিগত ১৪ মাসে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় রুজুকৃত ১৯১টি মাদক মামলায় ২২৬ জন আসামীসহ ৮,৯১৭ পিচ ইয়াবা, ৫৭ কেজি ৬৫০ গ্রাম গাঁজা ও ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন অপরাধে নিয়মিত মামলায় ১৩০৯ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় ১২১৯ জন, ফৌঃকাঃবিঃ ৫৪ ধারায় ৪৩ জন, ফৌঃকাঃবি ১৫১ ধারায় ১৮ জনসহ সর্বমোট ২৫৮৯ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ১টি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন, মামলা ও জিডি মূলে ১৪৬টি মোবাইল সেট, ২টি অটোরিকশা, ৩টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কোর্ট হতে প্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা জিআর-৯৬৭, সিআর-৮৩৭, জিআর সাজা-১৬৫, সিআর সাজা-১২৫, সর্বমোট-২০৯৪টি প্রাপ্ত হয়ে জিআর তামিল-৭৫৪, সিআর তামিল-৮৭, সিআর সাজা তামিল-৭২, মোট-১৫১১ জন আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে দায়েরকৃত মামলার মোট ১৩০৭টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়। অপরদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে সর্বমোট ২৮১৮টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়।

ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) স্যারের নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও চাঁদপুর সদর উপজেলাবাসীর নির্বিঘেœ জীবনযাপন করার জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংসহ সকল সামাজিক অপরাধ নির্মূলে আমরা বদ্ধপরিকর। আমি আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সকল অপরাধ দমনে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদপুর সদর উপজেলাবাসীসহ সকল জনসাধারণের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়