প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২২, ০০:০০
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে চাঁদপুর পুরাণবাজার বাতাসা পট্টিস্থ মহাপ্রভুর মন্দিরের শ্রী বিগ্রহ শ্রী শ্রী গৌরনিত্যানন্দ মহাপ্রভুর অঙ্গরাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে ২ জুন বৃহস্পতিবার মন্দির প্রাঙ্গণে সকাল থেকে পূজা অর্চনাসহ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় মহাপ্রভুর ভোগরাগ অনুষ্ঠান এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ। স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মধ্যাহ্নে হাজারো ভক্তের মাঝে প্যাকেটজাত প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ভক্ত-অনুরাগীদের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে মন্দিরটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। নবরূপে সজ্জিত মন্দিরটি দর্শনে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ সন্তোষ প্রকাশ করেন। অঙ্গরাজ অনুষ্ঠানে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও শ্রী শ্রী গৌরনিত্যানন্দ মহাপ্রভুর মন্দির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, মন্দির পরিচালনা পর্ষদের শিমুল সাহা, শেখর পাল, গোবিন্দ সাহা, মানিক সাহা, সুকান্ত সাহা টিটু, নেপাল সাহা, সুভাষ পোদ্দার, বিপ্লব সাহা, উত্তম সাহা, দ্বীপক সাহা, লিটন সাহাসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় মহাপ্রভুর অঙ্গরাজ কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যারা নিঃস্বার্থভাবে ভালো কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন তারা কখনো বিপথগামী হন না। পরমেশ্বর তাদেরকে রক্ষা করেন। সকল মানুষকেই ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। যদি তা করা না যায় তাহলে মনে শান্তি আসবে না। তিনি গৌরনিত্যানন্দ মহাপ্রভুর মন্দিরকে একটি জাগ্রত মন্দির হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, অত্যন্ত নিয়ম মেনে মন্দিরটির সেবা কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে যা অনেক স্থানে দেখতে পাওয়া যায় না। পুরাণবাজার হিন্দু ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস ও আস্থার স্থল গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর এই মন্দিরটি। যারা এ মন্দিরের উন্নয়নে উদার মনে কাজ করেন তারা অবশ্যই পরম ভাগ্যবান। তিনি সকলকে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শুধু মন্দির নির্মাণ বা পূজা অর্চনা করলেই হবে না তা রক্ষায় সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ১২৬৭ বাংলায় পাইকারী ব্যবসাখ্যাত পুরাণবাজারের প্রাণকেন্দ্রে শ্রী শ্রী গৌর নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর মন্দিরটি স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে প্রমত্তা মেঘনার করাল গ্রাসে রাতের অন্ধকারে মন্দিরটি নদীতে তলিয়ে গেলেও রক্ষা পায় মন্দিরে থাকা হাজারো ভক্তের পূজিত শ্রী শ্রী গৌরনিত্যানন্দ মহাপ্রভুর বিগ্রহ দুটি। ১৪১১ বাংলায় ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র বাতাসা পট্টির বর্তমান স্থানে মন্দিরটি পুনঃনির্মাণ করেন ব্যবসায়ীবৃন্দ। বিগত কয়েক বছর যাবত মন্দিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী চাঁদপুর চেস্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়। তার মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই হিন্দু ব্যবসায়ীগণ মন্দির উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন।