প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর জেলায় নব যোগদানকৃত জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সাথে চাঁদপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম ও ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রায় ২৫জন সাংবাদিক বক্তব্য রাখেন। বক্তারা জেলা প্রশাসককে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, চাঁদপুরের যেসব মেগাপ্রকল্পের কাজ স্থবির হয়ে আছে যেমন : মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক নৌ-টার্মিনাল, অর্থনৈতিক অঞ্চল, বৃহৎ পরিসরে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন, শিশুপার্ক নির্মাণ কাজ যেন দ্রুততম সময়ে আলোর মুখ দেখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত এসব উন্নয়ন কাজ যেন এ সরকারের মেয়াদেই দৃশ্যমান হয়। এছাড়া চাঁদপুর শহরের যানজট নিরসন, বাইপাস সড়ক, চাঁদপুর/ফরিদগঞ্জ সেতুর টোল মুক্তকরণসহ জেলায় বিরাজমান আরো বিভিন্ন সমস্যা বক্তাগণ জেলা প্রশাসকের নজরে আনেন।
সভার শুরুতে পরিচয় পর্বের পর চাঁদপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ নবাগত জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সাংবাদিকদের বক্তব্যের পর জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্য রাখেন। তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে এ জেলায় যোগদানের দ্বিতীয় কর্মদিবসে প্রেসের সাথে মতবিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমি এই দেড়ঘন্টায় আপনাদের থেকে চাঁদপুর সম্পর্কে যা জানলাম তাতে আমি অনেক সমৃদ্ধ হয়েছি। আমাকে যদি এ বিষয়গুলো আলাদা আলাদা করে জানতে হতো তাহলে হয়তো ছয় মাস সময় লাগতো। আমি আপনাদের সকল বিষয় নোট করেছি। এর মধ্যে কিছু আছে স্বল্পমেয়াদী, কিছু আছে মধ্যমেয়াদী, কিছু আছে দীর্ঘমেয়াদী। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদী ও মধ্যমেয়াদী বিষয়গুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে। আর দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প যেগুলো রয়েছে যেমন: চাঁদপুর-শরীয়তপুর সেতু। এসব বাস্তবায়ন আমার হাতে না থাকলেও আমি যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবো। আমি আপনাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করবো। তিনি বলেন, আমি তিনটি চোখকে কাজে লাগিয়ে এ জেলার জন্যে কাজ করবো। দুটি হচ্ছে আমার নিজের চোখ, আরেকটি হলো আপনাদের চোখ। তিনি বেশ দৃঢ়তার সাথে বলেন, আমি সাদা বা নীল শার্ট পরে অফিস করবো। আমার এ পোশাকে একফোঁটা দাগও যেন না লাগে সেদিকে খুব সতর্ক থাকবো। চাঁদপুর থেকে বিদায় নেয়ার সময় আমি যেন আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে যেতে পারি, সেজন্যে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। তিনি সংবাদ করার বিষয়ে বলেন, আপনাদের লেখার হাত উন্মুক্ত থাকবে, তাতে শিকল পরাবো না। তবে কোনো সংবাদের বিষয় যদি এমন দেখেন যে, তা প্রকাশের আগে আমার সাথে কথা বলে তা সমাধান করা যায় সেক্ষেত্রে আমার সাথে কথা বলার অনুরোধটুকু থাকবে। এরপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তখন সংবাদ করার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি থাকবে না।
পরিচয় পর্বের পর আলোচনার শুরুতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন জেলা প্রশাসককে অভিনন্দন জানিয়ে প্রেসক্লাবের ঐতিহ্যগত অবস্থান সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রোটাঃ কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটোয়ারী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, সোহেল রুশদী, এএইচএম আহসান উল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন, আব্দুল আউয়াল রুবেল, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ, জেলা ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক কেএম মাসুদ প্রমুখ।