রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২২, ০০:০০

প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক

প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সোমবার (৩০ মে) ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং’ সংক্রান্ত খাদ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনলাইন মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষ থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয় তার সবই করা হবে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত লাভ না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বোরো সংগ্রহ সফল করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে। যেসব মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ চাল আগে পরিশোধ করবে, প্রয়োজনে তাদের আরও বরাদ্দ দেয়া হবে।

বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস বাজার থেকে ধান-চাল কেনায় লিপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা কৃত্রিম কোনো সঙ্কট তৈরি করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। ভোক্তা যেনো আতঙ্কিত না হয়, সেজন্যে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ধান ও চাল সংগ্রহের সময় কোনো কৃষক কিংবা মিল মালিক যেনো কোনোভাবে হয়রানি না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ময়েশ্চার মিটার দিয়ে কৃষকের ধানের ময়েশ্চার পরীক্ষা করে কৃষককে সহযোগিতা করতে পারেন।

তিনি বলেন, কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার পরীক্ষা করে ধানসহ কৃষককে গুদামে পাঠালে তাদের ভোগান্তি কমবে। বেশি ময়েশ্চার বা ভেজা ধান ফেরৎ নিয়ে গুদাম থেকে মন খারাপ করে ফিরতে হবে না।

মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে সোনা ফলে। কৃষকের ঘরে ধারাবাহিকভাবে এখানে বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে। কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা না হলে এদেশে খাদ্য সঙ্কট হবে না।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক, খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়