শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০১ মে ২০২২, ০০:০০

দুমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ নদীতে ফিরেছেন জেলেরা
মিজানুর রহমান ॥

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে দুমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। মার্চ ও এপ্রিল সরকার এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ রোববার থেকে মেঘনা নদীতে চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ শিকারসহ নদীর অন্যান্য মাছও ধরবেন। শনিবার মধ্যরাত থেকেই চাঁদপুর, হাইমচর, মতলব ও পার্শ্ববর্তী শরিয়তপুরের জেলেরা মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ঈদের একদিন আগে নদীতে মাছ ধরা শুরু হওয়ায় জেলে পল্লীগুলোতে যেনো প্রাণ ফিরে এসেছে। মাছঘাটগুলোতে জেলে, মাছ ব্যবসায়ী ও ক্রেতাণ্ডবিক্রেতাদের কর্মতৎপরতা শুরু হয়েছে।

সাখুয়া, বহরিয়া, হরিণা, গোবিন্দিয়া আখনেরহাট এলাকার জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার পর নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছেন তারা। নৌকা মেরামত, জাল বোনা ও ছেঁড়া জাল ঠিকঠাক করে নেমে পড়েছেন মাছ শিকারে। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় গত দুমাস ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছেন। নদীতে মাছ ধরা পড়লে সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে নদীতে মাছ ধরতে যাবেন তারা। তবে অভিযান শেষে নদীতে মাছ থাকে না বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরে ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলে আছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় সব প্রজাতির মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলেরা চার কিস্তি পাবেন ভিজিএফের চাল। অভিযান শুরুর সাথে সাথে জেলেরা দুই কিস্তির চাল পেয়ে গেছেন। এখন বাকি দুই কিস্তির চালের ডিও চেয়ারম্যানদের দেয়া হয়েছে। কয়েকটি ইউনিয়নে জেলের জাটকা কর্মসূচির চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জাটকা সংরক্ষণে প্রায় দুমাস চাঁদপুর, ভোলা, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের ৫টি স্থানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিলো। এবারের নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে কার্যকর হওয়ায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরো জানান, নিষিদ্ধ সময়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে গত দুমাসে ১৫২ জন জেলের জেল এবং ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়েছে ৬০৯টি আর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় ৯০টি। মামলা হয়েছে ১৫৪টি। ১ কোটি ৫ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল এবং ১১৬টি অন্যান্য জাল জব্দ করার পর আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দ নৌকা নিলামে বিক্রি হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকায়।

আজ ১ মে রোববার থেকে জেলেরা নদীতে সব প্রজাতির মাছ শিকার করতে পারবে। তবে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকার করা যাবে না। জাটকা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জাটকা ইলিশ রক্ষার জন্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুমাস চাঁদপুরের হাইমচর থেকে মতলব ষাটনল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা ছিলো। এছাড়া এ সময় নদীতে মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ ছিলো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়