প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে কোনো প্রকার ঘটনা ছাড়াই মিথ্যে গল্প রচনা করে একটি অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হাজতবাস করানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ওই মামলাটির সরেজমিন তদন্ত ছাড়াই আদালতে রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
২৭ এপ্রিল বুধবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এমনটাই দাবি করেছেন হয়রানির শিকার হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। গুরুতর এ অভিযোগটি উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের মোঃ মিজানুর রহমান মিজু, সোহেল বেপারী, ইউসুফ বেপারী, রিয়াদ বেপারী ও জসিম বেপারীসহ একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী সুজন ভাট সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের একই বাড়ির বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমান মিজু, সোহেল বেপারী, ইউসুফ বেপারী, রিয়াদ বেপারী ও জসিম বেপারী গং দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত্রুতা পোষণ করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের একটি পিকআপ গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ এনে সুজন ভাটের পরিবারের সদস্যদেরকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটির তদন্ত ভার দেন ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে। থানা পুলিশের এসআই নুরুল ইসলাম মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে ওই মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পাঠান। বিজ্ঞ আদালত মামলার বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ আসামীদের আটক করে আদালতে পাঠান, আদালত আসামীদের হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়। বর্তমানে আদালত থেকে সুজন ভাটরা জামিনে রয়েছেন এবং ওই মামলাটির বিচারকার্য আদালতে চলমান রয়েছে।
ওই মামলার আর্জিতে ঘটনার যে বিবরণ দেয়া হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে না গিয়েই আদালতে তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এমন হয়রানির বিচারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা আরো জানান, ইতিপূর্বের বেশ ক’টি ঘটনায় আমাদের প্রতিপক্ষরা ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে তারা আরো জানান, প্রতিপক্ষের দ্বারা নিরীহ লোকদের জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেয়া, চাঁদা দাবি করাসহ বিভিন্ন অত্যাচারের শিকার হয়ে খায়েরী বেগম, মনোয়রা বেগম, আঃ ছমিদসহ আমাদের গ্রামের আরো কয়েকটি পরিবার আইনী সংস্থার কাছে বিচার প্রার্থনা করে অভিযোগ দেয়ার পর প্রতিপক্ষরা দোষী সাব্যস্ত হয়ে মুচলেকা প্রদান করে।
ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছোবহান লিটনের পরিচালনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তার ষাটোর্ধ্ব পিতা সলেমান ভাট, ভাই আঃ কাদের ভাট, আনোয়ার ভাট, মা আমেনা বেগম, আঃ ছমিদ পাটওয়ারী, খায়েরী বেগম, সফিকুর রহমান গাদ্দাফী, হান্নান ভাট, শাহজাহান ভাট, ফাতেমা বেগম, ফরিদা বেগম, রহিমা বেগম, বাচ্চু গাজী, পারভেজ প্রমুখ।