প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুরে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ তৎপর জেলা প্রশাসন। টিসিবির পাশাপাশি রমজানে কোনো অবস্থাতেই পণ্যের দাম বেশি নেয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত সভা করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) সোহেল আহমেদ, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, জেলা ক্যাব সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন, চাঁদপুর পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান রূপম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মনির হোসেন, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, পরিচালক গোপাল সাহা, জেলা ক্যাব দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব সরকার প্রমুখ।
এদিকে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ভোক্তা অধিকার সংস্থাসহ কিছু প্রতিষ্ঠান রমজানে পণ্যের দাম মানুষের নাগালে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেন, কোনোভাবেই রমজানে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সেদিকে সকলের দৃষ্টি রাখতে হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, রমজানে কোনোভাবেই পণ্যের অতিরিক্ত দাম আদায় করা যাবে না। ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন মিলে পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবেন। সেই মূল্যেই বিক্রি করতে হবে। কেউ নির্ধারিত মূল্যের বেশি আদায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক জানান, রমজানে দাম সহনীয় রাখতে প্রশাসন বাজার মনিটরিং করবে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ভেজাল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য যাতে কেউ বিক্রি করতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে দেন জেলা প্রশাসক।
চাঁদপুর চেম্বার সভাপতি বলেন, নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি না করার জন্যে চেম্বারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি বেশ কয়েক ধরনের পণ্যের চাহিদা বাড়ে। এর মধ্যে ছোলা, খেজুর, পুদিনা ও ধনেপাতা, লেবু, চিড়া, চিনি, পেঁয়াজ, কলা, ডাল, বেগুন উল্লেখযোগ্য। সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা রমজানে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।