বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ কোথায়?

ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়ক সংস্কারের পরেও ৫০ শতাংশের বেশি ভাড়া আদায়

যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ কোথায়?
শামীম হাসান ॥

জনগুরুত্বপূর্ণ ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়কে যাতায়াত করা সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি যেন শেষ হয়েও হয়নি শেষ। কয়েক ধাপে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নানা প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল পেরিয়ে সড়ক সংস্কার হলেও এই রূটের অন্যতম বাহন সিনএজিচালিত অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি টাকা।

উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে উপজেলা সদরে যোগাযোগ রক্ষাকারী জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করা ক’জন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বে ফরিদগঞ্জ থেকে রূপসা যাতায়াতের ভাড়া নির্ধারিত ছিলো ২০ টাকা। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কটির বেহাল দশায় পরিণত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে গাড়ি চালকরা কেউ কেউ বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াতের কারণ দেখিয়ে আবার কোনো কোনো সিএনজিচালক সেই বেহাল সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে গাড়ির বিভিন্ন পার্টস দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০ টাকা ভাড়ার স্থলে ৩০টাকা আদায় করতো। সে সময় সড়কের এমন অবস্থার কারণে অনেকটা পরিস্থিতির শিকার হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে এ রূটের যাত্রীদের। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ হয়ে পূর্বের ন্যায় পিচঢালা মসৃণ সড়কে পরিণত হলেও নির্দিষ্ট ভাড়ার ৫০ শতাংশ অধিক ভাড়াই আদায় করছে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।

সড়কটি সংস্কারের ১ সপ্তাহ পার হলেও কমেনি বর্ধিত ভাড়া। বিভিন্ন সময় এ রূটের যাত্রীরা চালকদের সাথে ভাড়া নিয়ে বাক-বিত-ায় জড়ালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চালকরা ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকাই আদায় করছেন। এমন পরিস্থিতি সমাধানে এ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির প্রতিনিধি কেউই কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। যেন অভিভাবকহীন সড়কটি দেখার কেউ নেই। এ রূটে নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভোগান্তি যেন শেষ হয়েও হয়নি শেষ।

আঞ্চলিক এ রূটের কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালকের কাছে ‘কেন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে’ এমনটি জানতে চাইলে মনির হোসেন নামে এক চালক বলেন, সবকিছুর দামই তো বাড়ে। বাজারে কোনডার দাম কমছে? আমরা যে গ্যাস ঢুকাই গ্যাসের দামও তো কয়েকবার বাড়ছে। যেইডার দাম একবার বাড়ে, ওইডা কি আর কমে?

‘দূরত্ব অনুযায়ী অন্য রূটগুলোতে তো ভাড়া আরো কম, তাহলে এই রূটে কেন আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া?’-এমন প্রশ্নের জবাবে চালক ইকবাল হোসেন বলেন, সব কিছুর দামই বাড়ে, ড্রাইবারগো ধারে ভাড়া দিতে আইলেই সব সমস্যা দেহা দেয় মাইনষের।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিজির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকার পর রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি আমরা শীঘ্রই সিএনজি ও অটোরিকশা চালকদের ডেকে ওদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরির কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি কিংবা কেউ কোনো লিখিত আবেদন জানায়নি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে অভিযোগ সত্যি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়