বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৩

ছাত্রদের এমন কাজ রোগীবান্ধব

অনলাইন ডেস্ক
ছাত্রদের এমন কাজ রোগীবান্ধব

চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দালালি করার অভিযোগে মহসিন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাকে আটক করেছে। আটক মহসিনকে নিয়মিত মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহসিন (৪৫)কে হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকেট কাউন্টারের সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আটক করে হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের কাছে নিয়ে যায়। সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী তখন পুলিশকে খবর দেন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মহসিনকে নিয়মিত মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল এমরান খান। ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বলেন, হাসপাতাল দালাল নির্মূল রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সাথে আমাদেরকে সহযোগিতা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ অভিযান চালিয়ে যাবো আমরা।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাম্প্রতিক তৎপরতা রোগীবান্ধব বলে বিবেচিত হচ্ছে। এই হাসপাতাল অতীতের সাথে তুলনা করলে অনেক ভালো চলছে। তবে কিছু লোভী চিকিৎসকের অনিয়ম ও আচরণ এবং দালালদের উৎপাত এখনও রোগীদের অসন্তোষের কারণ বলে বিবেচিত। চিকিৎসকদের অনিয়মের ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সরাসরি তেমন কিছু করতে না পারলেও দালালদের বিরুদ্ধে তাদের নিরাপোষ তৎপরতা প্রশংসনীয়। এজন্যে ছাত্রদের কাউকে কাউকে হাসপাতালের নিকটস্থ ২-১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের লেলিয়ে দেয়া লোকজন দ্বারা হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। তারপরও তারা দমে যায় নি। তাদেরকে জেলা প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সক্রিয় সহযোগিতা করে চলছে। এটা অব্যাহত থাকলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে সুন্দর তথা রোগীবান্ধব পরিবেশের সামগ্রিকতা পরিলক্ষিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস রাখি।

এই হাসপাতালকে সর্বাত্মক রোগীবান্ধব করতে হলে সকল চিকিৎসকের যথাসময়ে কর্মস্থলে আসা ও যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়াতে হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। কেননা হাসপাতালে কিছু চিকিৎসক যথাসময়ে তো আসে না, বরং দেরিতে এসে নির্দিষ্ট সময়ের আগে চলে যায়। এরা চিকিৎসকদের সংগঠনের নেতা ও স্থানীয় রাজনীতিকদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে এই অনিয়ম অতীতে করেছে এবং এখনও করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে বিদ্যমান অনিয়ম দূরীকরণে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছে। এই কাজে অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও হাসপাতালের বর্তমান কর্তৃপক্ষ অনেক সহায়ক বলে মনে হচ্ছে। তবে বিদ্যমান কিছু সমস্যা, সীমাবদ্ধতা, অবকাঠামোগত ও জনবল সঙ্কট হাসপাতালের সেবার মানকে সন্তোষজনক পর্যায়ে নিতে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। এই প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আনুকূল্য অতীব প্রয়োজন বলে মনে করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়