সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

দ্রুততম সময়ে জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে চায় চাঁদপুর পৌরসভা ॥ বড় বাধা সার্ভার জটিলতা
বিমল চৌধুরী ॥

বিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে শুরু করে প্রায় সকল কাজে জন্মনিবন্ধন সনদ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। আর এ কারণেই জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহে প্রতিদিনই চাঁদপুর পৌরসভায় ভিড় করছেন পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। যাদের সনদ রয়েছে তাদেরকেও নতুন সনদ সংগ্রহের জন্যে পৌরসভায় আসতে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, পূর্বের জন্মনিবন্ধন সনদ থাকলেই হবে না, তা অনলাইনেও থাকতে হবে। আবার সন্তান বা ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন জন্মনিবন্ধন পেতে গেলে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বাবা, মা দুজনের মধ্যে একজনের সনদ থাকলেও সন্তানের ক্ষেত্রে নতুন সনদ সংগ্রহ করা যাবে না। সেভাবেই অনলাইনে সফটওয়্যার (যঃঃঢ়ং://নফৎরং.মড়া.নফ) করা থাকায় নতুন করে সনদ পেতে বাবা মায়ের সনদ জরুরি হয়ে পড়েছে। আর একারণেই জন্মনিবন্ধন সনদ পাওয়ার লক্ষ্যে প্রতিদিনই পৌরসভায় ভিড় করছেন পৌরবাসী। আর তাদেরকে তা জরুরিভিত্তিতে সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন পৌর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।

জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেককেই অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে। ২৬ ডিসেম্বর রোববার পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল জন্মনিবন্ধনের আবেদন গ্রহণ ও প্রদান কার্যক্রম দেখতে পৌর ভবনের স্বাস্থ্য বিভাগে আসেন। তিনি জরুরি ভিত্তিতে সহজ উপায়ে আবেদনকারীগণ যাতে জন্মনিবন্ধন সনদ পেতে পারেন সেজন্যে পৌর স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করতে কাজ করছে চাঁদপুর পৌর পরিষদ। আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করতে জনবল বাড়িয়েছি। পৌরসভার স্টাফরা অনেকেই এখন জন্মনিবন্ধন আবেদন গ্রহণ ও প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছেন। পূর্বে আমিসহ পৌর সচিব ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্বাক্ষরে সার্টিফিকেট প্রদান করা হতো। বর্তমানে তা আরো সহজ করার লক্ষ্যে আমার বদলে পৌর প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ আলী মাঝির স্বাক্ষরেও সনদ প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সদিচ্ছা থাকলেও সার্ভার জটিলতার কারণে আমরা অনেক ক্ষেত্রে সময় মতো সনদ প্রদান করতে পারছি না। এজন্যে অনেক আবেদনকারী তাদের চাহিদানুযায়ী সময়মতো সনদ পাচ্ছেন না। তবে সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই।

গতকাল পৌরসভায় গিয়ে দেখা যায়, (যঃঃঢ়ং://নফৎরং.মড়া.নফ) সফটওয়্যার বন্ধ থাকায় জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্যে দুঃখপ্রকাশ পূর্বক নোটিস সাঁটানো রয়েছে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট শাখায়।

সফটওয়্যারের এ ধরনের জটিলতার কারণেই সময়মতো সনদ না পেয়ে দিন দিন আবেদনকারী বেড়েই চলছে। প্রায়ই দেখা যায় সফটওয়্যার জটিলতা। সফটওয়্যারের এ জটিলতার জন্য দায়ী কে? আর কেনই বা এ জটিলতা তা কিন্তু আবেদনকারীগণ বুঝতে পারছেন না। তারা শুধু বুঝতে চাইছেন অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য ছেলে-মেয়েদের ভর্তি কার্যক্রম আটকে যাবে না তো?

জানা যায়, (যঃঃঢ়ং://নফৎরং.মড়া.নফ) সফ্টওয়্যারটি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত। তাই কোনো ত্রুটি বা কোনো কারণে সার্ভার ডাউন হলে আবেদনকারীরা তখন সনদ নিতে পারেন না। কেন্দ্রীয় সার্ভার হওয়ায় এ বিষয়ে পৌরসভার কোনো কিছুই করার থাকে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়