প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
নারীদের পছন্দ আর শখের প্রথম পছন্দ স্বর্ণালঙ্কার। গরিব, ধনী সকল বয়সের নারীই চায় স্বর্ণ অলঙ্কারে অলংকৃত হতে। তবে স্বর্ণের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই তা পরতে পারেন না। তাই অনেকটা নিরূপায় হয়েই ইমিটেশন বা অন্য কোনো অলঙ্কারে নিজেকে সুসজ্জিত করে তুলতে চেষ্টা করেন তারা।
গতকাল চাঁদপুরের স্বর্ণের বাজার ঘুরে জানা গেল, বর্তমান সময়ে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। গত অক্টোবর মাসে যে স্বর্ণের দাম ছিল ভরি প্রতি ৭৩ হাজার টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৬৯ হাজার সাতশ’ টাকায়। তবে পূর্বের চেয়ে বর্তমানে স্বর্ণের দাম কমলেও তেমন বিক্রি নেই বলে জানালেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে স্বর্ণের দাম বাড়া-কমা নির্ভর করে বিশ^বাজারের উপর। বিশ^বাজারে দাম বৃদ্ধি পেলে দেশের বাজারে তার দাম বৃদ্ধি পায়। আবার বিশ^বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারে দাম কমে যায়। গত দুমাসের তুলনায় বর্তমানে ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম কমেছে প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। কিন্তু তেমন কোনো বিক্রি নেই।
তিনি বলেন, করোনাকালে বাজার অনেকটা ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। আমরা অনেকটা নিরূপায় হয়েই দিন কাটাচ্ছি।
তবে মোঃ তাজুল ইসলাম বাজারে কেনাবেচা নেই জানালেও প্রতিনিয়ত অনেকেই এ ব্যবসায় ঝুঁকছেন। চাঁদপুরে গড়ে উঠছে নতুন নতুন স্বর্ণের দোকান।
বর্তমানে চাঁদপুর জেলা স্বর্ণ সমিতির অন্তর্ভুক্ত ১২০টি স্বর্ণের দোকান থাকলেও জেলায় প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী এ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন। তবে এ ব্যবসার অন্তরালে সরকারি অনুমোদন ছাড়া অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে ইন্টারেস্টের (সুদের) ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছেন।
বর্তমানে ২২ ক্যারেট প্রতিগ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৬৯,৭০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ৬৬,৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৫৭,৮০০ টাকা, সনাতন প্রতি গ্রাম ৪৭,৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। যার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে গত ২০/১২/২০২১ খ্রিস্টাব্দে বাজুস চাঁদপুর জেলা শাখার সভায়। এছাড়া বর্তমানে রূপা বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি ১৩০০ টাকা করে।