প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
বরিশালের ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার একই পরিবারের বাবা-মা ও মেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিলেও বাঁচতে পারেননি মা মনোয়ারা বেগম (৫০)। এ দুর্ঘটনায় তার স্বামী বিল্লাল হোসেন (৬০) ও ছোট মেয়ে আমেনা আক্তার (১৪) দগ্ধ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নির্মম এ মৃত্যুর ঘটনায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বিষুরবন্দ গ্রামের হাজী বাড়িতে বইছে শোকের মাতম। মনোয়ারাা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বরগুনার জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা অভিযান-১০ লঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় যাত্রী হয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ওঠেন ওই পরিবারের তিন সদস্য।
তাদের পরিবারের দেয়া তথ্যসূত্রে জানা যায়, সে রাতে ঝালকাঠি গ্রামে তাদের বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তারের শ্বশুরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে সেখানে রওনা দেন। তাদের বহনকারী লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। জীবন বাঁচাতে তারা তিনজনই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নদীতে লাফিয়ে পড়েন। বাবা-মেয়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মনোয়ারাা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মনোয়ারাা বেগমের লাশ ভেসে ওঠে। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মরদেহটিকে উদ্ধার করে। পরে মনোয়ারাা বেগমের ছেলে মোস্তফা তার মায়ের লাশ সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তাদের পুরো গ্রামে শোকের মাতম বইছে।