প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
আমরা মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করছি আজ। আজকের এই দিনটি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে আপনা-আপনি আসেনি, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদেরকে অর্জন করতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় ভারত ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়, বাংলাদেশ শত্রুদের দখল থেকে মুক্ত হয়। সেদিন যেমন বিজয়ের উল্লাস ছিলো, তেমনি আমাদের হৃদয়ভরা ছিল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের হারানোর বেদনা, যারা যুদ্ধের মাঠে আমাদের সাথী ছিলেন। তাই, প্রতি বছর যখন এই দিনটি আসে, তা আমাদের বিজয়ের অপার আনন্দ দেয় এবং একই সাথে আমাদের হৃদয়কে বেদনায় পীড়িত করে। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। যা চেয়েছি তা থেকে বেশি পেয়েছি। এমন কথা বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া। বর্তমানে তার বয়স ৭৫ বছর। যুদ্ধকালীন সময়ে ছিলেন টগবগে তরুণ এবং সুদর্শন ও সুঠাম দেহের অধিকারী। ‘কেমন আছেন’ জিজ্ঞাসা করতেই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ভূঁইয়া জানালেন শারীরিকভাবে তিনি বর্তমানে কিছুটা অসুস্থ।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুদ্ধকালীন সময়ে মুজিব বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৬৪-৬৫ সালে আনসারে চাকরি করার সুবাদে তার প্রশিক্ষণ নেয়া ছিলো আগেই। তৎকালীন সময় তার আনসার অ্যাডজুটেন্ট ছিলেন শাহজাহান সাহেব। যুদ্ধের সময় নিজ এলাকায় চলে এসে চাঁদপুর সদর উপজেলা ১০নং সাখুয়া (লক্ষ্মীপুর) ইউনিয়নের বহরিয়া জুনিয়র হাইস্কুল মাঠে সহপাঠীদের নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য বাঁশের লাঠি ছিল তাদের একমাত্র হাতিয়ার। রাইফেল না থাকায় বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তখন ছিল তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি।
তিনি বলেন, আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, যা চাইছি তা থেকে বেশি পেয়েছি। এক সরকার আমাদের মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে। আরেক সরকার সুযোগ-সুবিধা-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যাঁরা বেঁচে আছি তাঁদের ভালো রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ পাক আমাদেরকে ভালো রেখেছে। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।