সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২১, ০০:০০

তিন নদীর মিলনস্থলের ঘূর্ণিস্রোত : ভাঙ্গন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর

আপাতত শহরের যে ঝুঁকিটা রয়েছে সেটা রক্ষা করতে ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্পটা অনুমোদন দরকার : পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী

মিজানুর রহমান ॥
তিন নদীর মিলনস্থলের ঘূর্ণিস্রোত : ভাঙ্গন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর

বর্ষা এলেই ঘোর দুশ্চিন্তায় থাকেন চাঁদপুর শহরবাসী। কারণ চাঁদপুরের পাশর্^বর্তী মেঘনা দিয়ে দেশের ৯০ ভাগ নদ-নদীর পানি বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়।

পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া এ তিন নদীর মিলনস্থল মেঘনায় বর্ষার সময় হয়ে উঠে ভয়ংকর। প্রবাহিত হয় তীব্র ঘূর্ণিস্রোত।

মেঘনার ভাঙ্গনের কারণে এই শহরটির প্রাচীন রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, মাছঘাট, প্রসিদ্ধ ব্যবসায়িক এলাকা পুরাণবাজারের বেশ কিছু এলাকা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মিল- কারখানা, মসজিদ-মন্দির, বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বাদ যায়নি গাছপালা এবং ফসলি জমি।

চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড এলাকার কাছে মেঘনায় পদ্মা ও ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ ঘটেছে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য অনুযায়ী এই স্থানটি বেশ বিপজ্জনক বলে পরিচিত। কারণ এখানেই প্রবল স্রোতের ঘূর্ণিতে ডুবে গেছে একাধিক নৌযান, যার আর হদিস মিলেনি। এখনো চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ অভিমুখে পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে ঘূর্ণিস্রোতের এই স্থানটি অতিক্রম করতে বেশ বেগ পেতে হয়। চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের মোলহেডসহ পুরাণবাজার ব্যবসায়িক এলাকার ভাঙ্গনস্থানে বর্তমানে নদীর গভীরতা ব্যাপক।

চাঁদপুর জেলার মধ্যে মেঘনা নদী প্রবাহিত ৪০ নটিক্যাল মাইলব্যাপী। প্রমত্ত মেঘনার উত্তাল স্রোতের কারণে আবারো ভয়াবহ ভাঙ্গন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর-এমন অভিমত বিশেষজ্ঞ ও পর্যবেক্ষক মহলের।

পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর তীব্র ঘূর্ণিস্রোতের কারণে চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার অংশের বড়স্টেশন মোলহেড ও পুরাণবাজার হরিসভা এলাকা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত ৩ বছর ধরে মেঘনা বার বার আঘাত হানছে এসব এলাকায়। এর ফলে নদী তীর রক্ষা বাঁধের পাথর ও আরসিসি ব্লক নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। পাউবো প্রতিবছরই এসব ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে জরুরি ভিত্তিতে রিজার্ভে রাখা সিসি ব্লক, জিওব্যাগ ভর্তি বালির বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা স্রোতের তোড়েই নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে চরম হুমকির মুখে রয়েছে চাঁদপুর শহর।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বড়স্টেশন মাদ্রাসা রোড থেকে মোলহেডের পুরাতন লঞ্চঘাট পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রতিদিন এই এলাকার ব্লক ও জিও ব্যাগ নদীর তলদেশে তিন নদীর ঘূর্ণিস্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা পুরাণবাজার ব্যবসায়িক এলাকার দক্ষিণ মাথায় ডাকাতিয়ার মুখ থেকে হরিসভা এলাকা পর্যন্ত।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের দুই অংশের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত ডাকাতিয়া, পশ্চিম অংশে মেঘনা ও পদ্মার মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেড ও পুরাণবাজার এলাকার বিভিন্নস্থানে নদীর তীব্র স্রোতে ব্লক ও জিও ব্যাগ দেবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাঝে মধ্যে জিও ব্যাগ ভর্তি বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।

পাউবোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহাকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা দাঁড়িয়ে থেকে ঝুকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে এসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে যাচ্ছি। কারণ এই নদীর তলদেশে তিন নদীর ঘূর্ণিস্রোত সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে একশ’ থেকে দেড়শ’ ফুট গভীর হয়ে ব্লক সরে যাচ্ছে।

পুরাণবাজার ভূঁইয়ার ঘাটের হাজী সিরাজ খান চালের আড়তের পাইকারী ব্যবসায়ী কাউছার খান (৩৫) জানান, তার গদিঘরের পেছনে নদী। এখানে যে ব্লক বাঁধ দেয়া হয়েছিলো ব্লকগুলো তলিয়ে গিয়ে নদীতে গভীরতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছি। বাজার এলাকা রক্ষায় এখানে কাজ করা দরকার।

স্থানীয় পাউবো কর্মকর্তারা জানান, এভাবে বছরের পর বছর বর্ষায় নদীতে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়ে চাঁদপুর শহর চরম হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। ২০২০ সালে পাউবো থেকে সরেজমিন স্টাডি করে ৪২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিলেও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। এরই মধ্যে চাঁদপুর শহরের দুই অংশের নদী পাড় আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে এই অবস্থার কারণ ও করণীয় নিয়ে গবেষণা করে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ জরিপকারী বিশেষজ্ঞ দল। তারা চাঁদপুর শহর রক্ষায় নতুন করে ৩ হাজার কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প জমা দেন। কিন্তু এ পর্যন্ত এ প্রকল্প পাসের খবর নেই। তবে মাঝে মধ্যে ভাঙ্গন দেখা দিলে পাউবো স্থানীয় সাংসদের চাপে পড়ে কিছু থোক বরাদ্দ দিয়ে থাকে। তারা সেখান থেকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কিছু বালির বস্তা ফেলে সাময়িক ভাঙ্গন প্রতিরোধ করে যাচ্ছে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল বলেন, আমরা এই বড়স্টেশন মোলহেডসহ শহর রক্ষা বাঁধ রক্ষায় ১৯৭২ সাল থেকে ১৬৪ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করেছি। এর মধ্যে ২০০৮ সাল থেকে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৯০ হাজার টাকা।

পাউবোর এই কর্মকর্তা আরো জানান, চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ ও পুনর্বাসনে একটি প্রকল্প মার্চ-২০২০ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছিলো। ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই করে বেশ কিছু ইন্সট্রাকশন দেয়া হয় এবং আরো ব্যাপকভাবে প্রকল্প গ্রহণের জন্য আগের প্রকল্পটিকে পুনর্গঠন করে ডিপিপি পাঠানোর জন্যে বলা হয়। আমরা তিন হাজার কোটি টাকার ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে মার্চ-২০২১-এ প্রেরণ করেছি। এ প্রকল্পের যাচাই-বাছাই সভায় তারা একটা সিদ্ধান্ত দেয় কারিগরি সমীক্ষা স্টাডি করে তারপর প্রকল্প প্রস্তাব আবার পাঠাতে। এই পর্যন্তই প্রকল্পটি রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়া দরকার। ৩ হাজার কোটি না হোক, প্রথম পার্টের ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্পটি শহর সংরক্ষণের জন্যে জরুরি ভিত্তিতে দরকার। তিনি বলেন, আপাতত শহর এলাকার যে ভাঙ্গন ঝুঁকি রয়েছে সেটা মোকাবেলায় উক্ত প্রকল্পটা খুবই দরকার।

এদিকে তিন নদীর মোহনা তথা মোলহেডটি বর্তমানে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে এখানে পর্যটকদের জন্যে বিভিন্ন স্থাপনা ও বসার স্থান করে পর্যটন স্পটে পরিণত করেছে। সম্প্রতি পর্যটন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান সরেজমিন এসে এই স্থানটিকে আরও আকর্ষণীয় করতে কোটি টাকা ব্যয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার দেখাদেখি গত ১৯ জুন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)ও চাঁদপুরের এই স্থানটিকে পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও এতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ এই জায়গাটি তাদের নিজস্ব জায়গা দাবি করে ঝুঁকিপূর্ণ মোলহেডের মাত্র ২০০ গজের ভেতর ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক ১ হাজার ৩০০ ফুট রেলস্টেশনের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ৫০০ফুট কাজ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বাকি ৮০০ ফুট রেললাইন করার জমি অবৈধ দখলে থাকায় এখনো শুরু হয়নি বলে দাবি করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রেল কর্মকর্তা।

এদিকে বড়স্টেশন মোলহেডের নিকটে মাদ্রাসা রোড এলাকায় প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক লঞ্চ টার্মিনালসহ নদী বন্দর করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এসব স্থাপনা ছাড়াও রেলস্টেশন সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে বিআইডাব্লিউটিসির স্টীমার ঘাট, দেশের সর্ববৃহৎ ইলিশ অবতরণ কেন্দ্র বা মাছঘাটসহ বেশ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শত শত ঘরবাড়ি এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

পুরাণবাজারের প্রধান ব্যবসায়িক এলাকার ১নং খেয়াঘাট থেকে পশ্চিমবাজার ঠোঁডা এবং হরিসভা রণাগোয়াল এলাকাটি খুবই ভাঙ্গন প্রবণ হয়ে উঠেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ গবেষকরা তাদের স্টাডিতে বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার পশ্চিমাংশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য চর পড়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে চাঁদপুর শহরের দিকে চলে এসেছে। বর্তমানে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার চড়া মেঘনা নদীটি সংকুচিত হয়ে মাত্র দেড় কিলোমিটারে চলে এসেছে। এই দেড় কিলোমিটার চাঁদপুর শহর ঘেঁষে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলিত স্রোত বার বার চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আঘাত হানছে। বিশেষ করে পশ্চিম দিক থেকে পদ্মার অংশও সরাসরি চাঁদপুর শহরের দিকে এসে মিলিত হওয়ায় এর ভয়াবহতা আরও বেড়ে গেছে।

চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম বলেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এবার হয়তো আমাদের আর শেষ রক্ষা হবে না। কারণ বড়স্টেশন মোলহেডের যে নড়বড়ে অবস্থা, মুহূর্তের মধ্যে সেটি তলিয়ে গেলে সমস্ত ব্যবসা কেন্দ্রসহ পুরাণবাজারও চোখের পলকে চলে যাবে। যেটি কারোই ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। এতে করে পুরাণবাজারের অন্তত ৪০ থেকে ৫০টি মিল ইন্ডাস্ট্রিসহ প্রায় আড়াইশ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে। আর্থিকভাবে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিসহ হাজার হাজার পরিবার পথের ফকির হয়ে যাবে। এ জন্যে এখনই সরকারের স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন।

চাঁদপুর বিআইডাব্লিউটিএর উপ-পরিচালক কায়সারুল ইসলাম বলেন, তিন নদীর স্রোতে বড়স্টেশন মোলহেড ভেঙ্গে গেলে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল, ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের স্টীমার ঘাটসহ আইডাব্লিউটিএর ব্যাপক ক্ষতি হবে।

চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, নতুন করে ভাঙ্গন আতঙ্ক আমাদের তাড়া করছে। এ জন্যে আমাদের সাংসদ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিও এই মোলহেড তথা চাঁদপুর শহর স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্যে নতুন একটি প্রকল্পর অনুমোদনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আশা করি তিনি সফল হবেন এবং আমরা আবারও নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবো।

চাঁদপুর দক্ষিণ অঞ্চল নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন গাজী বলেন, বড়স্টেশন থেকে পুরাণবাজার ঠোঁডা এবং হরিসভা এলাকায় নদীর প্রচুর গভীরতা বিরাজ করছে। যে কোনো মূহূর্তে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। চাঁদপুর শহর রক্ষার ৩৩৭৩ মিটার পুরো বাঁধটিই ঝুঁকিপূর্ণ। এ বাঁধটিও অনেক পুরানো হয়ে গেছে। নতুন করে টেকসই কাজ করা দরকার। আমরা জানি ৪২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিলো। এখন আমাদের স্থানীয় সাংসদ, যিনি শিক্ষামন্ত্রীর তিনি এটি তদবির করে একনেকে উঠিয়ে পাস করাতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়