সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৫

ফরিদগঞ্জে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন সাবেক নিকাহ রেজিস্ট্রার

ফরিদগঞ্জে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রি  করছেন সাবেক নিকাহ রেজিস্ট্রার
এমরান হোসেন লিটন

ফরিদগঞ্জে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন আমিনুল ইসলাম নামে অবসরে যাওয়া এক সাবেক ম্যারেজ রেজিস্ট্রার। মামলা চলছে বিধায় ভারপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিস্ট্রার থাকার পরও অবসরে যাওয়া সাবেক নিকাহ রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম কীভাবে নিজে এবং তার ছেলে ও মেয়ের জামাতা বিবাহ রেজিস্ট্রির কাজ করছেন এমন প্রশ্ন অনেকের। বিষয়টি আদালতের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল বলছেন অনেকে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মাওলানা আমিনুল ইসলাম ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন। বিধি মোতাবেক অবসর গ্রহণের পর সকল বালাম বহি জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দেয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি জমা না দিয়ে তার ছেলে আনিছুর রহমান ও মেয়ের জামাতা আমিনুল ইসলায় এলাকায় বিবাহ রেজিস্ট্রির কাজ করে যাচ্ছেন। যা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করার শামিল। এদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ সালে শূন্য হওয়া এই ইউনিয়নে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মো. হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ বোর্ড সুপারিশ করলে আইন মন্ত্রণালয় ২৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে ৪১১নং স্মারকে হাবিবুর রহমানকে এই ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ প্রদান করে। অতঃপর ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে অবসরে যাওয়া নিকাহ রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম ১৫০৯৮/২৩ তারিখে মহামান্য হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ৬ মাসের জন্যে নিয়োগটি স্থগিত করেন। এ সময় নিয়ম অনুসারে জেলা রেজিস্ট্রার এই শূন্য ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পার্শ্ববর্তী এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা ফজলুর রহমানকে নিয়োগ দেন। কিন্তু সাবেক নিকাহ রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম মামলার বাদী হওয়া সত্ত্বেও আইন অমান্য করে জোরপূর্বক এলাকাতে বিবাহ রেজিস্ট্রি কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্রশ্ন, আমিনুল ইসলাম তো এখন নিকাহ রেজিস্ট্রার নেই। তারপরও তিনি বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন? এসব বিবাহের তাহলে আইনগত ভিত্তি কী? দ্রুত সময়ের মধ্যে জনস্বার্থে পূর্বের সকল বালাম ও কাগজপত্র জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দেয়ার দাবি সচেতন নাগরিকদের। উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত বাদী ও বিবাদী কেউ যেনো অবৈধভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রি করতে না পারে এমন দাবি সচেতন ব্যক্তিদের।

অত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার ফজলুর রহমান বলেন, ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম অবসর গ্রহণের পর নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশের আলোকে সরকারের আইন মন্ত্রণালয় নতুন একজনকে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে অত্র ইউনিয়নে নিয়োগ দেয়। সেই নিয়োগের বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন আমিনুল ইসলাম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৬ মাসের জন্যে নিয়োগ স্থগিত করে। জেলা রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু আমিনুল ইসলাম সে নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নিজেই বিবাহ রেজিস্ট্রির কাজ করে যাচ্ছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে জেলা রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

সাবেক নিকাহ রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমরা জেলা কাজী সমিতির সভাপতির অনুমতি নিয়ে কাজ করছি।

জেলা কাজী সমিতির সভাপতি ফজলুল কবির বলেন, নিয়োগ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমিনুল ইসলাম তার পরিবারের একজনের বিবাহ করাবে বলে আমার কাছে অনুমতি চেয়েছেন, সেটা আমি দিয়েছি। বাইরে কোনো কাজ করার অনুমতি দেই নি। আমি উনাকে আজই মানা করে দিচ্ছি, যাতে কোনো বিবাহ রেজিস্ট্রি না করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়