প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৬
কচুয়ায় ব্রীজ আছে রাস্তা নেই
কচুয়ার বিতারা-সাজিরপাড় সড়কে ব্রীজ আছে। কিন্তু নেই সংযোগ সড়ক। উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের সাজিরপাড় থেকে বিতারা স্কুল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সাজিরপাড়, বাতাপুকুরিয়া, দুর্গাপুর ও কলাকোপা গ্রামের জনগণ চলাচল করে থাকে এবং বিল থেকে কৃষকের ফসল সংগ্রহ করার রাস্তা এটি।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালে বিলের মাঝে বিতারা মোল্লা বাড়ির পশ্চিম অংশের এলাকায় খালের ওপর ৭৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩শ' ২৫ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ করা হয়। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সাজিরপাড় থেকে বিতারা যাওয়ার এ ব্রিজটির পশ্চিম পাশে ব্যবহারের অনুপযোগী সংযোগ সড়ক রয়েছে। রাস্তা থাকলে ব্রিজটিকে ঘিরে সাজিরপাড়-বিতারা এলাকার মধ্যে সংযোগ স্থাপনসহ কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর আঞ্চলিক সড়কের সাচার বাজার থেকে কচুয়াসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতো। ওই কাঁচা সড়কে সেতুটির উত্তর-পশ্চিম দিকে একটি কালভার্ট ও একটি ছোট ব্রিজ নির্মিত হলে জনগণের চলাচলের উপযোগী হবে। ২ বছর আগে নির্মিত ব্রিজটির কাজ শেষ হলেও জনদুর্ভোগ কমেনি এবং সড়কটি জনচলাচলের পূর্ণতা পায়নি। নিরূপায় কৃষকগণ সাজিরপাড়-বিতারা কাঁচা সড়ক দিয়ে মাঠ থেকে কষ্ট করে ফসল সংগ্রহ করছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজের সংযোগ সড়ক, কালভার্ট ও আরো একটি ব্রিজ নির্মাণ করলে মানুষের যাতায়াতের অনেকটা কষ্ট লাঘব হবে। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার ও প্রয়োজনীয় ব্রীজ নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদার জানান, বিতারা ইউনিয়নের ৫ গ্রামের মানুষের বিকল্প সড়ক হিসেবে চলাচলের জন্যে এ রাস্তা ও ব্রীজটি আমার প্রচেষ্টায় নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে অসমাপ্ত কাজ শেষ হলেই মানুষ সহজে চলাচল করতে পারবে ।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, বিতারা-সাজিরপাড় সড়কে একটি ছোট ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণের জন্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
কচুয়ায় বিলের মাঝে সেতু।