রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৭

পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবরে লিখা স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

ডাকাতিয়া ও সিআইপির সকল খাল খননসহ ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

অনলাইন ডেস্ক
ডাকাতিয়া  ও সিআইপির সকল খাল খননসহ ৫ দফা দাবিতে  স্মারকলিপি

কৃষি, মাছ ও পরিবেশকে ভয়াবহ হুমকি থেকে রক্ষা এবং কৃষক, মৎস্যজীবী ও জেলেদের জীবিকা রক্ষায় চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি)-এর অভ্যন্তরে জলবাদ্ধতা দূরীকরণে ডাকাতিয়া নদী ও সিআইপির অভ্যন্তরে বোরোপিটসহ সকল খাল খনন, কচুরিপানা মুক্তকরণ, সকল লিজ বাতিলসহ ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বুধবার (৪ ডিসেম্বর ২০২৪) চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এ সময় সিআইপি বাঁধ, ডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন দুলাল, কমরেড শাহজাহান তালুকদার, রহিমা আক্তার পলি, মন্তাজ সরকার, আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ৬ উপজেলার ৫৮ হাজার হেক্টর (গ্রস) জমি ও ২৮ হাজার হেক্টর আবাদী জমি নিয়ে একশত কিলোমিটার পরিধির বাঁধ দ্বারা ১৯৭৮ সাল থেকে সিআইপি পুরোদমে চালু হয়। বাঁধের উদ্দেশ্য ছিলো বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে সেচের মাধ্যমে এক ফসলি জমিকে দু-তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করে অধিক ফসল উৎপাদন করে এই অঞ্চলের খাদ্য ঘাটতি দূর করা। অথচ কালক্রমে বন্যা না হলেও অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, নদী, খাল ও বোরোপিট খাল খনন না করায় বা সংস্কার না করায় সিআইপি আজ আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপে পরিণত হয়েছে। বোরো মৌসুমে কৃষকরা পর্যপ্ত পানি না পাওয়ায় বোরো উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্য দিকে আমন মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার ফলে কৃষকদের সমস্ত ফসল তলিয়ে যায়। এতে কৃষকদের হতে হয় চরম ক্ষতির সম্মুখীন। ইজারা, বর্গা ও দরিদ্র কৃষক পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হয়ে চলেছে। মৎস্যজীবী, মৎস্য চাষী ও পুকুরে মাছ চাষকারীরাও চরম ক্ষতির শিকারে পরিণত হয়েছে। এর কারণ নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, অপর্যাপ্ত স্লুইস গেট, ইনলেট-আউটলেটে বড়ো ধরনের ত্রুটি ও অনিয়ম- দুর্নীতি। ফলে সিআইপি বাঁধ হয়ে গেছে প্রায় অকার্যকর। বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতার উল্লেখযোগ্য কারণ সিআইপি'র অভ্যন্তরে পানি প্রবাহের প্রধান ক্যানেল ডাকাতিয়া নদী গত প্রায় ১০০ বছর এবং বোরোপিট খালসহ শত খাল গত ২৫-৩০ বছরেও খনন বা সংস্কার না করা। পরিণতিতে সেগুলো নাব্যতা হারিয়েছে। যে কারণে বৃষ্টি হলেই পানি ধারণ ক্ষমতা না থাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ বছর টানা বর্ষণে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপণের জন্যে প্রস্তুত করা বীজতলা ও রোপণ করা আমন ধান সম্পূর্ণরূপে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারও কৃষক, বর্গা ও ইজারা চাষী এবং মৎস্য চাষীরা। তাই পাঁচ দফা দাবি যথাক্রমে অবিলম্বে ডাকাতিয়া নদী ও সকল খাল খনন (সংস্কার) করে জলাবদ্ধতা দূর করে আমন ধান ও জলাশয়ে, পুকুরে মাছ চাষী ও মৎসজীবীদের রক্ষা করা, বোরো (ইরি) উৎপাদনে (রোপণে) পর্যাপ্ত পানি পাওয়ার ব্যবস্থা করা, ডাকাতিয়া নদী ও বোরোপিট খালের ইজারা বাতিল, দখল মুক্ত এবং কচুরিপানা পরিষ্কার করে মাছ-পানি-পরিবেশ বাঁচানোর ব্যবস্থা নেয়া, আগামী বৈশাখ পর্যন্ত চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্য দিতে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা এবং কৃষিঋণ মওকুফ, ক্ষতিগ্রস্তদের সার-বীজ সহ কৃষিপণ্য বিনামূল্যে সরবরাহ করা ইত্যাদি বাস্তবায়ন হলে সিআইপি আশীর্বাদে পরিণত হবে ও ডাকাতিয়া নদী তার হারানো যৌবন ফিরে পেলে দেশীয় মাছ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে বলে স্মারকলিপিতে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়