রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ২২:৩৫

চাঁদপুরে ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ! দুশ্চিন্তায় কৃষক

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুরে ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ! দুশ্চিন্তায় কৃষক

চলতি মৌসুমে মতলব উত্তরে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কৃষকরা নানা প্রতিকূলতা পার করে রোপণ করেছেন আমন ধানের চারা। ইতোমধ্যে ধান ক্ষেত সবুজ আকার ধারণ করেছে। আর এর মধ্যেই কিছু সংখ্যক ক্ষেতে শুরু হয়েছে ‘পাতা ব্লাস্ট’ রোগের আক্রমণ। এতে সবুজ ক্ষেত ধীরে ধীরে হলদে থেকে বাদামি রঙে পরিণত হচ্ছে। এ নিয়ে ফসল দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

সম্প্রতি সরজমিনে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু মাঠে দেখা গেছে আমন ধানের ক্ষেত পাতা ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত। কেউ বা বলেছেন এটি খোল পেড়া বা পঁচা রোগ। এর ফলে ধানের পাতা পচে বিনষ্ট হচ্ছে। এ রোগ প্রতিরোধে কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাজে আসছে না বলে জানান কৃষকরা।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতায় ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে

৮ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জেলার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ জনসাধারণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে চেষ্টা করে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল হচ্ছে আমন ধান। আর আমন চারা রোপণের সময় প্রত্যেক বছরে বন্যা দেখা দিলেও এ বছরে তেমনটা প্রভাব পড়েনি।

আমন চারা রোপণের বেশিরভাগ সময়ে খরার কবলে পড়তে হয়েছিল। অধিকাংশ কৃষক বাড়তি খরচে সেচ দিয়ে রোপণ করেছেন এই ধান চারা। এবার অধিক ফলনের আশায় ইতোমধ্যে পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ শেষের দিকে। এরই মধ্যে ধান ক্ষেত সবুজ রঙ ধারণ করায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কৃষকের মুখে হাসি ফুটছিল। আর এই মুহূর্তে সেই হাসি যেন ম্লান হয়ে যাচ্ছে তাদের। বর্তমানে বেশ কিছু মাঠে দেখা দিয়েছে পোকামাকড়ের আক্রমণসহ পাতা ব্লাস্ট বা খোল পঁচা রোগের প্রাদুর্ভাব। এ কারণে ধান ক্ষেত এখন হলদে থেকে বাদামি রঙে পরিণত হয়েছে। কৃষকের স্বপ্নের ক্ষেত বিনষ্টের আশঙ্কা মাথায় বাজ পড়েছে।

ছেংগারচর পৌরসভার আধুরভিটি গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, এবার আমি ৪৫ শতাংশ জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। এর শুরুতে খরার কবলে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করতে হয়েছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত দামে শ্রমিক ও চারা ক্রয়সহ সার প্রয়োগ করেছি। এখন সেই ক্ষেত পঁচারি রোগ দেখা দিয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাজে আসছে না।

আরেক কৃষক আব্দুস সোবহান ও নাসির উদ্দিন জানান, ধান ক্ষেতে রোগবালাই দেখা গেলেও দেখা যাচ্ছে না কৃষি কর্মকর্তাদের। তাই দোকানিদের পরামর্শে কীটনাশক কিনে প্রয়োগ করছি।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, এটি ধানের ব্লাস্ট রোগ নয়, এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। পানি জমে থাকার কারণে হয়তো এ সমস্যাটা বেশি হয়েছে। বীজবাহিত সমস্যার কারণে এটা হতে পারে। যেখান থেকে এই বীজটা সংগ্রহ করেছে ওই বীজে যদি পূর্বে এই রোগটা থেকে থাকে তাহলে এটা হতে পারে। আর এই রোগগুলো বেশিরভাগ বিআর-১১ ধানের জমিতে হয়ে থাকে। আমার কৃষকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে- আপনারা বিআর-১১ ধানটা না করে আমনের বেশ কিছু ভালো জাত রয়েছে যেমন বিআর-৮৭, ৯২, ৯৫। এ ধানগুলোতে রোগে আক্রমণ কম হয়।

তিনি আরও বলেন, চারা অবস্থা থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় এ রোগের আক্রমণ দেখা যায়। এ উপজেলার কিছু স্থানে ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রমণের কথা জানতে পেরে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ধানে আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে কৃষকদের সতর্ক করা হচ্ছে। সূত্র : যায়যায় দিন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়