প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩, ১০:৫২
চাঁদপুর শহরের যানজট নিরসনে ঈদের আগে ও পরে রাস্তায় কোনো ধরনের ভ্যানগাড়ি রাখা যাবে না
-----পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার)
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ২০২৩ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ। গতকাল ১৯ জুন সকালে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা পরিবহন মালিক সমিতি, জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা সিএনজি-অটোরিক্সা মালিক সমিতি, জেলা সিএনজি-অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রাক-লরি মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সার্কেল, সকল থানার ওসি, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি ও জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অংশ নেন। সকলে তাঁদের মতামত উপস্থাপন করেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন পুলিশ মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার)। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, লঞ্চঘাটে কোনো মালামালের জন্য অতিরিক্ত টাকা নিলে নৌ পুলিশ তদারকি করে ব্যবস্থা নিবেন। আর যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লঞ্চঘাটের ইজারা নিবেন তাদের নাম ঘাটে সাঁটিয়ে দিতে হবে ও কুলিদের নির্দিষ্ট কালারের ড্রেস পরিধান করতে হবে। লঞ্চঘাটে সিএনজি বা অটোরিকশা চালকরা যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে টানা হেঁচড়া না করে বিষয়টি নৌ থানা পুলিশ তদারকি করবে। প্রয়োজনে চালক ও গাড়ি আটক করে টিআইর সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। শহরের যানজট নিরসনে ঈদের আগে ও পরে কোনো ধরনের ভ্যানগাড়ি রাখা যাবে না। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোনো গাড়ি রাখা যাবে না। বড় গাড়িগুলো ইলিশ চত্বর হয়ে ঘুরিয়ে আনা যায় কিনা, বিষয়টি টিআই নজরদারি করবেন।
তিনি বলেন, রাস্তার উপর কোনোভাবেই গরু-ছাগলের হাট বসানো যাবে না। কোথাও রাস্তার উপর হাট বসানো হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদের আগে ও পরে মানুষ যেন নিরাপদে বাড়ি আসতে এবং যেতে পারে, সেজন্য পুলিশ কাজ করবে। কোথায়ও কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ থানা পুলিশকে অবহিত করবেন। প্রয়োজনে আমাকে ফোন করবেন।
পুলিশ সুপার বলেন, যানজট নিরসনে জেলা শহরের উল্লেখযোগ্য মোড়ের ৫০ গজের মধ্যে কোনো সিএনজি থাকতে পারবে না। কোরবানির পশুর কোন্ হাটে কোন্ পশুর গাড়ি যাবে, তা গাড়ির সামনে লেখা থাকবে। গাড়ি থামিয়ে কোথাও কেউ যদি চাঁদাবাজি করতে আসে, সাথে সাথে পুলিশকে জানাবেন। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। রাস্তা-ঘাট ক্লিয়ার রাখা, যততত্র যাত্রী উঠানো যাবে না, অজ্ঞান ও মলম পার্টি সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইব্রাহিম খলিল, হাজিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ জুবায়ের সৈয়দ, জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান, চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান, লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিল্পব সরকার, বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোয়েবুর রহমান, বাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি, ট্রাক-লরি মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ মমিন মিয়া, জেলা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন, জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহরিয়ার ওমর ফারুক।