প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
আনন্দবাজারে ১৫ বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন
আতঙ্কে তিন শতাধিক পরিবার
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী ইউনিয়নে আনন্দবাজার নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তীরে আছড়ে পড়া মেঘনার তীব্র ঢেউয়ে প্রায় ১৫টি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও চলাচলের সরকারি রাস্তার গাইডওয়াল ভেঙ্গে পড়ে গেছে। বসতঘর ভেঙ্গে যাওয়া পরিবারের অনেকেই পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। বর্তমানে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে।
|আরো খবর
খবর পেয়ে সাথে সাথে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন তরপুরচণ্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী। তিনি ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে ২৬ অক্টোবর বুধবার সকালে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী। তারা পায়ে হেঁটে এবং নৌকাযোগে ইউনিয়নের ৮, ৯ ও ৭নং ওয়ার্ড এলাকার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস দেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোঃ ইয়াসিন বেপারী, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম শামীম, ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তফা মাল প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল বলেন, এলাকায় নদী ভাঙ্গন ও ক্ষয়ক্ষতির কথা আপনাদের চেয়ারম্যান রাসেল গাজী আমাকে জানিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে দেখেছি। আমাদের সার্ভেয়ার পরিমাপ করছে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী জানান, গত ২৪ অক্টোবর সোমবার ভোরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নদীর তীরবর্তী এলাকায় মেঘনার ঢেউ আছড়ে পড়ে। এতে প্রায় ১৫ টি বছর বসতঘর নদীগর্ভে বিলীনসহ অনেকের বসতভিটে এবং আবাদী জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বসতঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেকেই পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। মাথা গোঁজার একমাত্র বসতঘর হারিয়ে তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। অতিদ্রুত ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।